আলমডাঙ্গার হারদী কুয়াতলা গ্রামের ৭ তম শ্রেনীতে পড়ুয়া স্কুলছাত্রী ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা
আলমডাঙ্গার হারদী কুয়াতলা গ্রামের ৭ তম শ্রেনীতে পড়ুয়া স্কুলছাত্রী ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বার ঘটনা ঘটেছে। আর এই অভিযোগ উঠেছে আপন ফুফা বয়োবৃদ্ধ খোকন পাঠানের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে বয়োবৃদ্ধ খোকন পাঠান গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে বলে এলাকাবাসি জানিয়েছে। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
জানাগেছে, উপজেলার হারদি ইউনিয়নের কুয়াতলা গ্রামের মৃত আমজাদের ছেলে খোকন পাঠান(৭০) ৫ সন্তানের জনক। খোকন পাঠানের শ^শুর বাড়ি একই গ্রামে। খোকন পাঠানের কুটুরের মেয়ে হারদী নার্গিস ইসলাম বালিকা বিদ্যালয়ের ৭তম শ্রেনীর ছাত্রী। ফুফুর বাড়ি গ্রামে হওয়ায় মাঝে মাঝেই ওই স্কুলছাত্রী ফুফুর বাড়িতে যেত। গত কয়েকমাস আগে খোকনের স্ত্রী মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে যায়। তারই সুযোগে খোকন খান স্কুলছাত্রীকে বাড়িতে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করেন। এঘটনা কাউকে না বলার জন্য নিষেধ করে খোকন খান। এরই মধ্যে ওই স্কুল ছাত্রীর মাঝে মাঝেই সুস্থ হয়ে পড়েন।
পরিবারের লোকজন জানান, স্কুল ছাত্রীর শারীরিক পরিবর্তন ও অসুস্থতার কারণে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হারদি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা করে অন্তঃসত্ত্বার ঘটনাটি নিশ্চিত করে। স্কুলছাত্রীকে পরিবারের লোকজন জিজ্ঞাসা করলে সে বৃদ্ধ খোকন পাঠানের অনৈতিক কর্মকান্ডের ঘটনাটি জানায়। এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে লম্পট বয়োবৃদ্ধ খোকন পাঠানের বাড়ি থেকে পালিয়ে বলে জানাগেছে।
এঘটনায় এলাকাবাসী জানান, বয়োবৃদ্ধ খোকন পাঠনের বিরুদ্ধে ছেলে স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও এলাকার বিভিন্ন নারীদের সাথে প্রকাশ্যে অসৌজন্য মূলক ব্যবহার করেন বলেও জানান।
এবিষয়ে ইউপি সদস্য আবু বকর সিদ্দীক বলেন, ঘটনা শোনার পর কুয়াতলা গ্রামে গিয়েছিলাম। তবে খোকন পাঠান এবং ওই স্কুলছাত্রীর বাড়িতে কাউকে না পাওয়ায় সঠিক তথ্য জানতে পারেনি। এঘটনা গ্রামের মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে গিয়েছে।