আলমডাঙ্গার সালাম কাজীর বিরুদ্ধে নির্ধারিত এলাকার বাইরে বিয়ে পড়ানোর অভিযোগ : অন্যান্য কাজিরা ক্ষুব্ধ
আলমডাঙ্গা পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের নিকাহ্ রেজিস্ট্রার কাজী আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে উপজেলার অন্য এলাকায় গিয়ে বিয়ে পড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে তিনি উপজেলাজুড়ে বিস্তৃত করেছেন তার এলাকা। তিনি পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকলেও বিভিন্ন ইউনিয়নে রাতের অন্ধকারে অতি গোপনে গিয়ে নিকাহ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে বিপাকে পড়েছেন স্ব-স্ব এলাকায় দায়িত্বরত কাজীরা। কাজিদের পক্ষ থেকে জেলা ও উপজেলা কাজী সমিতির নিকট অভিযোগ করা হলেও নেওয়া হয়নি কোন ব্যবস্থা। আব্দুস সালাম নিজেকে সরকারি কাজী পরিচয়ে বিলবোর্ডও ঝুলিয়ে দিয়েছেন এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, দীর্ঘদিন যাবৎ আব্দুস সালাম নিকাহ রেজিস্ট্রারের কাজ করে আসছেন। তিনি আলমডাঙ্গা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্ব পালন করছেন। এদিকে, সরকারি নির্ধারিত ফি ছাড়াও অধিক টাকার লোভে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে বাল্য বিয়েসহ অবৈধ নিকাহ রেজিস্টার করার অভিয়োগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ সব করে সরকারি ফি'র চাইতে তিনগুন অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন আব্দুস সালাম। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের কাজীরা জানান, ভাংবাড়িয়া গ্রামের শরিয়ত হোসেনের মেয়ে ও বড়-বোয়ালিয়ার ভিটিপালা গ্রামের মৃত ফটিক আলির মেয়ের নিকাহ্ রেজিস্ট্রি করেন কাজী আব্দুস সালাম। এছাড়াও, কালিদাসপুর গ্রামের ওয়াজকুরুনের ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ের বাল্যবিয়ে দেন সালাম। এধরণের একাধিক অপকর্মের অভিযোগ তোলেন কাজীরা। কাজী আব্দুস সালাম বাল্য বিয়ে পড়াতে গিয়ে পরে নিজেই বিয়ে করে নিয়ে আসছিলেন বলে অভিযোগে রয়েছে।
অভিযুক্ত কাজী আব্দুস সালাম বলেন, আমি সরকারি কাজী, সেকারণে বিভিন্ন জায়গায় বিল বোর্ড স্থাপন করেছি।
চুয়াডাঙ্গা জেলা কাজী সমিতির সভাপতি সামসুল হক জানান, সালাম ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাজী। সে সরকার অনুমোদিত, কিন্তু সরকারি কাজী লেখার কোন বৈধতা নেই।
আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহি অফিসার রনি আলম নূর জানান, এক এলাকার কাজী অন্য এলাকায় বিবাহ পড়ানো অপরাধ। এছাড়াও তিনি যদি বাল্যবিয়েসহ অতিরিক্ত টাকা নেন, তার বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।