আলমডাঙ্গা সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আর্থিক অনিয়মের (মাউশি)“র বিভাগীয় তদন্ত
আলমডাঙ্গা সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের (মাউশি)“র বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। ১৪ আগস্ট রবিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাউশির খুলনা অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক এ.এস.এম আব্দুল খালেক নিজে উপস্থিত থেকে তদন্তের নেতৃত্ব দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল বারী।
তদন্ত কর্মকর্তা এএসএম আব্দুল খালেক বিদ্যালয়ের দু থেকে তিন জন করে সহকারী শিক্ষককে ডেকে তাদের হাতে কাগজ ও কলম ধরিয়ে দেন। এরপর আর্থিক অনিয়ম বিষয়ক নির্দিষ্ট কিছু প্রশ্নের উত্তর কাগজে লিখতে বলেন। সবশেষে প্রধান শিক্ষক ও অফিস সহকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এভাবে সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খান ও অফিস সহকারী সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ওঠা মোটা অংকের আর্থিক দূর্নীতি খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন তদন্তকারীরা।
তদন্ত কর্মকর্তা এএসএম আব্দুল খালেক প্রত্যেক শিক্ষকের কাছে আলাদা আলাদাভাবে জানতে চান, স্কুলের দোকান ভাড়া, শহীদ মিনারের মাঠের মাইক্রো মালিক ও বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্রাইট মডেল স্কুলের কাছে ছেড়ে দিয়ে কত টাকা নেওয়া হয়। এ-টিম মাঠ ও বি-টিম মাঠ সংকুচিত হয়ে পড়ারও কারণ। এ ছাড়া গত ২০১৩ সালে বিশেষভাবে চারজন শিক্ষক কীভাবে নিয়োগ পেয়েছেন সেই প্রশ্ন ঘুরেফিরে করা হয়।
বিদ্যালয়টি সরকারীকরণ ঘোষণার পর প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খান সরকারি দপ্তরে টাকা লাগবে বলে শিক্ষকদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ উঠে। কোন দপ্তরেই টাকা লাগেনি এই সত্য জানাজানি হলে শিক্ষকদের রোষানলে পড়েন প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খান। পরে তিনি তিন লক্ষ টাকা ফেরৎ দিলেও শেষ রক্ষা হয়নি। মোটা অংকের আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত শুরু হয়েছে।