চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এক পুলিশ সদস্য ও তার খালাকে পেটানোর অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার: সালিশ করে দেওয়ায় কথা বলে ডেকে নিয়ে এক পুলিশ সদস্য ও তার খালাকে বেধড়ক পেটান্যোর অভিযোগ উঠেছে আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দুই মাসলম্যানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
জানা যায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছি গ্রামের মৃত মোজাম আলীর স্ত্রী ছাবিনা খাতুন সম্প্রতি জমি বিক্রি করেছেন একই গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে আব্দুল ওহাবের নিকট। এই নিয়ে পরবর্তিতে বিরোধের সৃষ্টি হয়। ছাবিনা খাতুন এ ঘটনায় আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ ওরেন। এক পর্যায়ে বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদে মীমাংসা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বেলগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান চঞ্চল উভয়পক্ষকে ডাকেন। ১৭ জুলাই ছাবিনা খাতুন তার বোনের ছেলে পুলিশ সদস্য সাব্বির আহমেদকে (কনস্টেবল ৩৪৫৩, এপিবিএন শিরোমনি খুলনা কর্মরত)।
সাথে করে বেলগাছি ইউনিয়ন পরিষদে যান। ইউনিয়ন পরিষদে পৌঁছলে চেয়ারম্যানের মাসলম্যান হিসেবে পরিচিত সাবেক ইউপি সদস্য ফরিদপুর গ্রামের বিপ্লব , ডামোশ গ্রামের মিনারুল ও বেলগাছি গ্রামের শাহিন বিচার করে দেওয়ায় কথা বলে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করলে ও টাকা চাওয়ার ঘটনার প্রতিবাদ করাতে দু মাসলম্যান পুলিশ সদস্য সাব্বির ও তার খালা ছাবিনা খাতুনকে ইউনিয়ন পরিষদের অন্য এক রুমে আটকে রেখে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়েছে। আহত পুলিশ সদস্য আলমডাঙ্গার শেখপাড়া গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে। বর্তমানে তিনি ছুটিতে বাড়ি অবস্থান করছেন।
এ ঘটনায় পুলিশ সদস্য তার আহত খালাকে সাথে নিয়ে দুপুরে আলমডাঙ্গা থানায় উপস্থিত হয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
আলমডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে এখনও মামলা দায়ের করা হয়নি। মামলা দায়ের হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
লাঞ্চিত পুলিশ সদস্য সাব্বির আহমেদ জানান, ইউনিয়ন পরিষদে সালিশের স্থানে বহিরাগত ও মাসলম্যানরা উপস্থিত ছিল। এক পর্যায়ে চেয়ারম্যানের কয়েকজন লোক আমার খালাকে লাঞ্চিত করে, মারধর করেন। সে সময় আমি প্রতিবাদ করলে আমাকেও অন্যায়ভাবে মেরেছে। থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন আমার খালা।
বেলগাছি ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল হক চঞ্চল জানান, গ্রাম আদালতে এ বিষয়ে সালিশ চলছিল। আমি পুলিশ সদস্যের বাড়ি কোথায় জানতে চায়। তিনি উত্তেজিত হয়ে আমাকে ধাক্কা দেন। এসময় উপস্থিত কয়েকজন উত্তেজিত হয়ে তাকে কিল ঘুষি মারেন।