আলমডাঙ্গায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরধরে পিতা-পুত্রকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম
আলমডাঙ্গার আনন্দধামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরধরে পিতা-পুত্রকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। আনন্দধামের সড়ক সংলগ্ন জমির দখল নিয়ে গত মঙ্গলবার সকালে এই মারধরের ঘটনা ঘটে। রক্তাক্ত জখম পিতা-পুত্রকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রক্তাক্ত জখম আহত পিতা-পুত্রকে বাঁচাতে হাসপাতালে ছুটাছুটির সুযোগে আহতদের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে হামলাকারিরা।
জানাগেছে, উপজেলার ডামোশ গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের দুটি সংসারে ৫টি ছেলে সন্তান রয়েছে। আব্দুল জলিল আলমডাঙ্গা শহরের আনন্দধামে রাস্তা সংলগ্ন ১৭ শতক জমি ক্রয় করেন। ওই জমি তিনি তার মৃত্যুর পূর্বে প্রথম পক্ষের স্ত্রীর তিন ছেলের নামে ৯ শতক ও ২য় পক্ষের ২ ছেলে নামে ৮ শতক জমি রেজিষ্ট্রি করে দেন। এই জমি প্রথম পক্ষের ছেলে হাবিল উদ্দিন তার সৎ ভাইদের কাছে জমি বিক্রয় করার জন্য দামাদামি করে। সঠিক দাম না হলে তিনি জমি বিক্রি করতে রাজি হননি।
কিন্তু সৎ ভাই আবু জাফর ও জাহাঙ্গীর আলম জমি কিনতে না পারলেও জোর পূর্বক দখল করে নিয়ে অন্যত্র ভাড়া প্রদান করে। হাবিল ও তার ছেলে জমি দখল পেতে আদালতে মামলা দায়ের করেন। গত ১২ জুলাই মঙ্গলবার হাবিল উদ্দিন তার ছেলেকে সাথে নিয়ে ওই জমির নিকট গিয়ে দেখেন তাদের জমির উপর নির্মিত গোডাউন ভাড়া দিয়েছে। কেনো ভাড়া দিয়েছে জাফর ও জাহাঙ্গীরের কাছে জানতে চাইলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে পিতা-পুত্রর উপর হামলা করে।
তারা হাবিল উদ্দিনে মাথায় ধারালো অস্ত্র কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে এবং মেরুদন্ডের উপর হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে। পিতার মারধর ঠেকাতে আসলে ছেলে লিপুকেও বাটাম দিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়। মারাত্মক জখম অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হারদীতে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। পরে হাবিলের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেছে।
এদিকে লিপু অভিযোগ করেছেন তার পিতাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তির সুযোগে প্রতিপক্ষরা তাদের নামে থানায় মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।