সমাজের সুষম উন্নয়নের জন্য সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সুশিক্ষিত করে তুলতে হবে:আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ
আলমডাঙ্গায় স্বপ্নঘর ফাউন্ডেশনের সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের সাথে আনন্দঘন সময় কাটালেন আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ ও সিনিয়র সাংবাদিকরা।
জানা যায়, গতকাল ২৪ জুন বিকেলে আলমডাঙ্গার সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের স্কুল স্বপ্নঘর ফাউন্ডেশন পরিদর্শন করেছেন আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গার সিনিয়র সাংবাদিক আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহ আলম মন্টু, সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম আজম, দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিনিধি ফিরোজ ইফতেখার, দৈনিক পশ্চিমাঞ্চল ও দৈনিক গ্রামের কাগজের প্রতিনিধি প্রশান্ত বিশ্বাস, ও দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকার সহকারী ব্যুরো প্রধান শরিফুল ইসলাম রোকন। তাছাড়া উপস্থিত ছিলেন দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকার ব্যুরো প্রধান, দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার প্রতিনিধি ও স্বপ্নঘর ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী রহমান মুকুল ও প্রধান উপদেষ্টা আলমডাঙ্গা ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
থানা অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম স্বপ্নঘর ফাউন্ডেশনের সুবিধাবঞ্চিত শিশু শিক্ষার্থিদের হাতে শিক্ষা উপকরণ ও ঈদের পোষাক তুলে দেন।
এ সময় তিনি বলেন, সমাজের একটা বড় অংশকে অবহেলিত রেখে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। সমাজের সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করা গেলে সমাজ তথা দেশের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব। সমাজের সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের শিক্ষিত করে, সুনাগরিকে পরিণত করে সমাজের মূলধারায় প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। এই দায়িত্ব পালন করে যাওয়ায় স্বপ্নঘর ফাউন্ডেশন ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। তিনি সমাজের সামর্থবানদের এ ব্যাপারে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে আহ্বান জানান।
আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও স্বপ্নঘর ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা শাহ আলম মন্টু বলেন, যাদের সামর্থ আছে, তাদের উচিত সমাজের অবহেলিত জনগণের পাশে দাঁড়ানো। তাদের ভাগ্যের উন্নয়নে সহযোগিতা করা। তাদেরকে উন্নয়নে স্রোতে নিয়ে আসা। আজকের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সুশিক্ষিত করে তুলতে পারলে তারা একদিন উন্নয়নের মূল স্রোতধারাকে বেগবান করে তুলবে। দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এ ব্যাপারে সাংবাদিক হিসেবে আমাদেরও দায়িত্ব রয়েছে।
স্বপ্নঘর ফাউন্ডেশনের পরিচালক ও শিক্ষক জান্নাতুল মাওয়া ও শিক্ষক নাফিজা শর্মির সঞ্চালনায় আনন্দঘন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সুবিধা বঞ্চিত শিশু শিক্ষার্থিরা আবৃত্তি, সঙ্গীত ও নৃত্যে অতিথিদের মাতিয়ে রাখেন।
পরে থানা অফিসার ইনচার্জ আলমডাঙ্গার স্বয়ম্ভর লাইব্রেরী পরিদর্শন করেন।