ঠিকাদার কামাল হত্যা মামলার আরও ২ আসামী গ্রেফতার: আদালতে হত্যায় দায় স্বীকার
আলমডাঙ্গার জেহালার ঠিকাদার কামাল হত্যা মামলার আরও দুই আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পূর্বেগ্রেফতার হওয়া প্রধান আসমীর স্বীকারোক্তিতে এ দুজন ২ আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে চুয়াডাঙ্গার ফার্মপাড়া থেকে আশিকুর রহমান বাদসা (২৮) ও জেহালা থেকে রাহুল (১৮) নামের এ দুই আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় আদালতে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
জানা গেছে,আলমডাঙ্গার জেহালার ঠিকাদার কামাল হোসেন হত্যার প্রধান আসামী স্বাধীনকে গ্রেফতারের পর তিনি হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করেন। স্বাধীন এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আরও কয়েকজনের নাম প্রকাশ করে বলে পুলিশ জানান। স্বাধীনের স্বীকারোক্তিতে গত মঙ্গলবার রাতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার পুলিশ পরিদর্শক অপারেশন একরাম হোসাইনের নেতৃত্বে চুয়াডাঙ্গায় অভিযান চালিয়ে ফার্মপাড়ার মৃত বিপ্লব হোসেনের ছেলে আশিকুর রহমান আশিক ওরফে বাদশা ও একই রাতে জেহালার কার্ত্তিক দাসের ছেলে রাহুলকে গ্রেফতার করা হয়।
থানা পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃত দুইজন এ হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম জানান, প্রধান আসামী স্বাধীনের স্বীকারুক্তিতে এ দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা নিজেদেরকে এ হত্যাকান্ডে জড়িত করে আদালতে স্বীকারুক্তি দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত,গত ৯ মে আলমডাঙ্গার জেহালার বিশিষ্ট ঠিকাদার কামাল হোসেনকে (৬৪) পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়ে। জমি নিয়ে বিরোধে গত ৯মে সোমবার দিনগত রাত ১২ টার দিকে এ হত্যাকান্ড ঘটে।
নিহত কামাল হোসেন ছিলেন জেহালা গ্রামের প্রয়াত জাহান আলী মাস্টারের ছেলে। তিনি বিএনপি নেতা ছিলেন এবং ঠিকাদারি করতেন। রক্তাক্ত অবন্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় ক্লিনিকে ও পরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আহসানুল হক বলেছিলেন, হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তার মৃত্যু ঘটেছে।
এ ঘটনায় নিহত কামাল হোসেনের স্ত্রী সেলিনা আক্তার বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।