আলমডাঙ্গায় এক প্রভাষকের স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করলেন আরেক প্রভাষক
শ্রেণিকক্ষে ক্লাস বন্ধ,মানহানীকর মন্তব্য করাসহ সব সময় খারাপ আচরণের অভিযোগ তুলে আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন একই বিভাগের আরেক শিক্ষক।
আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার লিখিত সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেছেন, ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল থেকে অদ্যাবধি প্রায় ১০ বছর যাবৎ তিনি ওই কলেজে সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। একজন যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক হওয়ার পরও তাকে কলেজের প্রভাষক জেসমিন আরা (প্রভা) প্রতিহিংসাবশতঃ তার সাথে শত্রুতা করে আসছেন।
হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য গত ১১-০৫-২২ তারিখে ক্লাস চলাকালীন তিনি আমার ক্লাস থেকে ৮/১০ জন ছাত্রীকে কৌশলে বের করে তার ক্লাস করার পরামর্শ দেন। বিভিন্ন সময়ে তিনি আমাকে কটূক্তিমুলক কথা বলেন এবং আমার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
গত ২৩ মে কলেজের প্রভাষক আমিরুল ইসলাম জয়কে সাথে নিয়ে আমার সাথে চরম অসম্মান ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। আমি প্রতিবাদ করায় তারা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের অনুমতি ছাড়াই আমাকে অনার্স, বিএম শাখা ও ডিগ্রী (পাশ) এবং বিজ্ঞান বিভাগের ক্লাস নেওয়া বন্ধ করে দেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে,একই সাথে কর্মরত থাকলেও প্রভাষক জেসমিন আরা প্রভা বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব নিয়ে নিজের মত করে কাজ করে আসছেন। উক্ত প্রভাষকের সাথে সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গোলাম সরোয়ার মিঠুর দহরম মহরম থাকার কারণে বিগত দিনে অভিযোগ করেও কোন কাজ হয়নি। বরং তিনি বার বার আমার সাথে অসদাচরণ ও যোগ্যতা নিয়ে কটুক্তি করেছেন।
অথচ, আমি ১৯৮৯ সালে ৫ম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিলাভ, ১৯৯২ সালে ৮ম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি, ১৯৯৫ সালে এসএসসিতে ৮৩২ নম্বর পেয়ে উপজেলায় প্রথম এবং ১৯৯৮ সালে এইচএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগে ১ম, অনার্স ও মাস্টার্সে ইংরেজিতে প্রথম স্থান লাভ করি। সেদিক থেকে বিবেচনা করলে আমি যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক ।
সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট প্রভাষক জেসমিন আরা খানমের (প্রভা) স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধের প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী জানাচ্ছি।