আলমডাঙ্গায় রেললাইনের বসে হেডফোন লাগিয়ে গান শোনার সময় ট্রেনের ধাক্কায় কিশোর হৃদয় গুরুতর আহত
আলমডাঙ্গার লালব্রিজের অদূরে রেললাইনের বসে হেডফোন লাগিয়ে গান শোনার সময় ট্রেনের ধাক্কায় কিশোর হৃদয় গুরুতর আহত হয়েছে। গতকাল ১৬ মে সোমবার বিকেল ৫টার দিকে গোয়ালন্দ ঘাট থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী গোয়ালনন্দ মেইল ট্রেনে এ দূর্ঘটনা ঘটে। আহত হৃদয়কে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে আলমডাঙ্গা উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়ায় রেফার্ড করে।
জানাগেছে, আলমডাঙ্গা পশুহাট লালব্রিজ এলাকায় রেললাইনের পাশে ঝুপড়ি ঘর বানিয়ে গাইবান্ধা জেলার বেশ কয়েকঘর মানুষ বসবাস করে। তারা এখানে বসবাস করে কেউ দিনমুজুরের কাজ, কেউ গ্রামে গ্রামে ব্যবসা করে, কেউ ভিক্ষাবৃত্তি করে বেড়ায়। গাইবান্ধা জেলার আইনাল হকের ছেলে হৃদয় (১৫) ভাই ও চাচার সাথে আলমডাঙ্গা লালব্রিজের অদূরবর্তি রেললাইনের ঝুপড়িতে বসবাস করে। হৃদয় আলমডাঙ্গা পৌরসভার উন্নয়ন কাজ প্রজেক্টের ড্রেনের মিস্ত্রির জোগালে হিসেবে কাজ করে।
পৌর কাউন্সিলর খন্দকার মুজিবুল হক বলেন, হৃদয় রেললাইনের পাশের ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করে। সে গতকাল রেললাইনে বসে কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনছিল। এসময় ট্রেন চলে আসলে দ্রæত সরে যেতে লাফ দিলে রেললাইনের পাশে থাকা পিলারের ধাক্কায় হৃদয় আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে। সে পৌর সভার পানি নিস্কাশনের ড্রেনের মিস্ত্রীর জোগালে হিসেবে কাজ করে।
আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, পশুহাট এলাকায় রেললাইনের ওপর বসে হেডফোনে গান শুনছিল। অসাবধানতায় ট্রেনের ধাক্কায় আহত হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া পাঠানো হয়েছে।
আলমডাঙ্গা উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আসাদুল্লাহ আল গালিব বলেন, কিশোর হৃদয় তার মাথায় প্রচÐ আঘাত পেয়েছে। তার ক্ষত স্থান থেকে মাত্রারিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে, সাথে বমিও করছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।