আলমডাঙ্গার হাউসপুর গ্রামের মুদি দোকানদার পিতা-পুত্র চাপাতির কোপে ক্রেতা দিপু রক্তাক্ত জখম
আলমডাঙ্গার হাউসপুর গ্রামে দোকানদার পিতা-পুত্র চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ক্রেতা দিপু রক্তাক্ত জখম করেছে। হাউসপুর ব্রিজ সংলগ্ন বাবলুর মুদি দোকান থেকে একইপাড়ার দিপু ৫শ ১০ টাকা মালামাল বাকিতে ক্রয় করে। পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে দোকানদার বাবলু ও তার ছেলে মারফত আলীর সাথে দিপুর কথা কাটাকাটি হয়। এরই একপর্যায়ে পিতা-পুত্র মিলে গত ১ মে রাত পৌনে ১০টার দিকে দিপুকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুষ্টিয়া ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তি করে।
জানাগেছে, উপজেলার ডাউকি ইউনিয়েনের হাউসপুর গ্রামের মৃত লিয়াকত আলীর ছেলে দিপু (২৭) হাউসপুর ব্রিজ সংলগ্ন সমির ফলের দোকানের কর্মচারী। দিপু ব্রিজ সংলগ্ন মুদি ব্যবসায়ী হাউসপুর গ্রামের নবিছদ্দিনের ছেলে বাবলু মন্ডল(৫৫)“র দোকান থেকে বাকীতে ৫শ ১০ টাকার মালামার ক্রয় করে। পরে ওই বাকি টাকা নিয়ে বাবলুর সাথে দিপুর কথা কাটাকাটি সুষ্টি হয়। গত ১ মে রাত আনুমানিক পৌনে ১০ টার দিকে দিপু তার বাকী টাকা পরিশোধ করে দেয়। টাকা পরিশোধ করার সময় বাবলুর ছেলে মারফত আলী বিভিন্ন ভাষায় দিপুকে গালাগালি করতে থাকা। দিপু নিষেধ করতে বাবলু ও তার ছেলে মারফত আলী দোকান থেকে চাপাতি নিয়ে দিপুকে এলোপাতারি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে ।
পরে দিপুকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ও পরে রাজশাহি মেডিকেল কলেজে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। এবিষয়ে দিপুর চাচা বাদি হয়ে ৩ জনকে আসামী করে আলমডাঙ্গা থানায় এজাহার দায়ের করেছে। পরে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাবলু ও তার ছেলে মারফত আলীকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে। ২ মে বাবলু ও তার ছেলে মারফত আলীকে আদালতের মাধ্যকে জেলহাজতে প্রেরন করেছে।