আলমডাঙ্গার লালব্রীজের উপর থেকে ট্রেনের ধাক্কায় পানিতে পড়ে হুসাইন নিহত
আলমডাঙ্গার লালব্রীজের উপর ট্রেনে কেটে হুসাইন নামের এক শিশু মারা গেছে। ৫মে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হুসাইনসহ ৩ শিশু ব্রীজ পার হওয়ার সময় ট্রেন দেখে দু'জন পানিতে লাফিয়ে পড়ে প্রাণে রক্ষা পেলেও হুসাইন বেনাপোল এক্সপ্্েরসের ধাক্কায় রক্তাক্ত জখম হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
জানাগেছে, উপজেলার কুমারি ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের সৌদি প্রবাসী ফারুক হোসেনের ছেলে হুসাইন(১২) ফুফাতো ভাইদের সাথে নিয়ে ঘুরতে বের হয়। সন্ধ্যায় আগে ৬টার দিকে তারা তিনজন রেলব্রিজের উপর উঠে। আলমডাঙ্গা পশুহাট থেকে কালিদাসপুরের দিকে যাচ্ছিল। ব্রিজের মাঝা মাঝি পৌছালে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন চলে আসে। এসময় দুজন পানিতে লাফ দিয়ে প্রাণে বেচে গেলেও ট্রেনের ধাক্কায় মাথায় আঘাত পেয়ে পানিতে পড়ে হুসাইনের মৃত্যু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শিসুত্রে জানা যায়, হুসাইন তার দুই ফুফাতো ভাইয়ের সাথে বৃহস্পতিবার বিকেলে লালব্রীজ এলাকায় ঘুরতে আসে। সন্ধ্যা ৬ টার দিকে তারা তিনজন লালব্রীজ পার হচ্ছিল। এ সময় খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ব্রীজের উপর এসে পড়লে তার দুই ফুফাতো ভাই ব্রীজ থেকে কুমার নদের পানিতে লাফিয়ে পড়ে। ট্রেনটি দ্রæত ছুটে গিয়ে হুসাইনের মাথায় আঘাত লাগলে মাথা রক্তাক্ত জখম হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
সংবাদ পেয়ে আলমডাঙ্গার ফায়ার সার্ভিসের কর্মিরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পানি থেকে লাশ উদ্ধার করে। রেলওয়ে পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট করে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেছে। একমাত্র পুত্রকে হারিয়ে প্রবাসী ফারুক হোসেনের পরিবারে শোকের মাতম চলছে।
এদিকে লালব্রীজে মাঝে মধ্যেই এমন দুর্ঘটনা ঘটতে থাকায় সচেতন মহল ব্রীজের দুই পাশে গেট অথবা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালনে লোক নিয়োগ দেবার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী জানিয়েছেন।
আলমডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন অফিসার মোখলেছুর রহমান বলেন, আমরা সংবাদ পেয়ে দ্রæত এসে শিশুটিকে মৃত অবস্থায় পানি থেকে উদ্ধার করি। উদ্ধারের পরে দেখতে পায় তার মাথায় ট্রেনের ধাক্কায় ক্ষত হয়ে রক্ত বের হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে পুলিশের এসআই মাসুদ রানা বলেন, লাশের সুরতাহল প্রতিবেদন করার পর আইনগত প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।