আলমডাঙ্গায় প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ১৭ টি ঘর গৃহহীন পরিবারের মধ্যে হস্তান্তর
“যতই দলক আর ঝাপোট হোক, আর ভয় কচচি নে। একন আমরা পাকা দালান পাইচি। এতদিন আমাগের জন্যি কেউ কিচু করিনি। করলো তো শেকের বেটি হাসিনা। আল্লাহ তিনারে অনেক দিন হায়াত দিক।“ উপরোক্ত কথাবার্তা বলেন, আলমডাঙ্গা উপজেলার রুইতনপুর পূর্বপাড়ার প্রধানমন্ত্রির ঈদ উপহার আশ্রায়ণ প্রকল্প এলাকার অকুমার দাস-সঙ্গীতা দাসী দম্পতি। তাদের ১ টি পুত্র সন্তানের আছে। ২য় শ্রেনীতে লেখাপড়া করে।
২৬ এপ্রিল আলমডাঙ্গা উপজেলায় প্রধানমন্ত্রির আশ্রায়ণ প্রকল্পের ১৭ টি ঘর গৃহহীন পরিবারের মধ্যে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত হলে উপরোক্ত স্বগতোক্তি করেন। মঙ্গলবার আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ হলরুমে প্রধানমন্ত্রির ঘোষণা অনুযায়ি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৩য় পর্যায়ের ১৭টি ঘরের চাবি ও জমির দলিলের ফোন্ডার সুবিধাভোগিদের নিকট হস্তান্তর করা হয়। পরে আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা সুবিধাভোগিদের প্রধানমন্ত্রির উপহার আশ্রায়ণ প্রকল্পের বাড়ি বুঝে দেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসসূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রির উপহার ৩য় পর্যায়ে উপজেলাতে ৮০ টি গৃহ বরাদ্ধ পাওয়া গেছে। তার মধ্যে ঈদ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার ১৭টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। একযোগে সারাদেশে প্রধান মন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঘর উদ্বোধন শেষে আলমডাঙ্গায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নূরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আরাফাত রহমান । এ সময় তিনি বলেন, অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আপনারা এখন থেকে এই ঘর ও জমির মালিক। বর্তমান সরকার অসহায় ও গরীব মানুষের সরকার।সেটার পরিচয় প্রধানমন্ত্রি আবার দিলেন।
বিশেষ অতিাথ ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু, সহকারি কমিশনার ভূমি রেজওয়ানা নাহিদ, উপজেলা আওয়মীলীগের সাধারন সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টার, আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক ( তদন্ত) আব্দুল আলিম। শামীম রেজার উপস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন অগ্নিসেনাখ্যাত বীর মুক্তিযোদ্ধা মঈন উদ্দিন, সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গোলাম সরোয়ার মিঠু, উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এনামুল হক, আলমডাঙ্গা পল্লি বিদ্যুতের জোনাল অফিসর ডিজিএম আবু হাসেম, জনস্বাস্থ্য সহকারী প্রকৌশলী হাসিবুজ্জামান প্রমুখ।
ঘর পেয়ে রুইতনপুর গ্রামের লালন দাস বলেন, ‘আমার মতন মানুষ পাকা দালান পাবো, জমি পাবো তা ভাবিনি। ভগবান শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়ে রাকুক। মন্দিরে পূজা দিয়ে হাসিনার জন্যি প্রার্থনা করবো।"