ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে মালায়েশিয়ায় গিয়ে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরলেন আলমডাঙ্গা দূর্গাপুর গ্রামের মিনাজ উদ্দিন
শরিফুল ইসলাম রোকন: ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে মালায়েশিয়ায় গিয়ে আগুনে পুড়ে লাশ বাড়ি ফিরলেন আলমডাঙ্গা দূর্গাপুর গ্রামের মিনাজ উদ্দিন। গত ২৬ মার্চ বিকালে স-মিল ফ্যাক্টারির বয়লারের ছাইয়ের আগুনে পুড়ে মিনাজ মারাত্মক আহত হয়। পরে ২৮ মার্চ বাংলাদেশ সময় বেলা ১২ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। প্রায় ১ মাস পর ২৩ এপ্রিল মিনাজ উদ্দিনের লাশ দাফন করা হয়েছে।
জানাগেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার কুমারি ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের মৃত শুকুর আলীর ছেলে মিনাজ উদ্দিন (৪৫) প্রায় ৬ বছর আগে ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে মালয়েশিয়ায় যান। তিনি মালায়েশিয়ার তাইফিন শহরের একটি স-মিল ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন। গত ২৬ মার্চ বিকেলে স-মিল ফ্যাক্টরির বয়লারের ছাই সরাতে গিয়ে ছাইয়ের কুন্ডলি মিনাজ উদ্দিনের শরীরের উপর পড়ে। এসময় মিনাজ উদ্দিনের শরীরের প্রায় ৫০ ভাগ পুড়ে যায়।
পরে তাকে উদ্ধার করে মালায়েশিয়ার একটি হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। তাঁর শরীরিক অবস্থা আশংকাজনক ছিল । ২৮ মার্চ বাংলাদেশ সময় বেলা ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মুত্যু বরণ করেন। প্রায় ১ মাস পর মিনাজ উদ্দিনের মৃতদেহ ২২ এপ্রিল রাতে বাংলাদেশ বিমান বন্দরে এসে পৌছে। ঢাকা বিমান বন্দর থেকে এ্যাম্বোলেন্স যোগে সকালে মিনাজ উদ্দিনের লাশ নিজ বাড়িতে পৌছালে পরিবার ও আত্মীয় স্বজনদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। স্বজনদের কান্নায় এলাকার আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠে।
মিনাজের ভাতিজা সুমন জানান, তার চাচা ২৬ মার্চ মালয়েশিয়ায় একটি স-মিল ফ্যাক্টারির বয়লারের ছাইয়ের আগুনে পুড়ে মিনাজ মারাত্মক আহত হয় । পরে ২৮ মার্চ সোমবার বাংলাদেশ সময় বেলা ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করে। প্রায় ১ মাস পর ২২ এপ্রিল তার লাশ বাংলাদেশ বিমান বন্দরে পৌছায়।
বিমান বন্দরের সকল কাজ সম্পূর্ন করে রাতেই এ্যাম্বোলেন্স যোগে মিনাজ উদ্দিনের লাশ নিয়ে রওনা দেয় বাড়ির উদ্দ্যেশে । সকাল ৮টার দিকে মিনাজের লাশ নিয়ে এ্যাম্বোলেন্স বাড়িতে আসে। সকাল ৯টায় জানাযার নামাজ শেষে গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। মিনাজ উদ্দিন মৃত্যুকালে ২ ছেলে রেখে গেছেন। মরহুম মিনাজ উদ্দিনের আত্মার মাগফিরাত কামনায় সকলের নিকট দোয়া চেয়েছেন বড় ছেলে সৌরভ।