মেয়াদোত্তীর্ণ কৃমিনাশক ঔষধ খাওয়ানোর কারণে শারীরিক প্রতিবন্ধীর ৯ টি ভেড়া মারা গেছে
মেয়াদোত্তীর্ণ কৃমিনাশক ঔষধ খাওয়ানোর কারণে আলমডাঙ্গার এক শারীরিক প্রতিবন্ধীর ৯ টি ভেড়া মারা গেছে। অসুস্থ হয়েছে আরও ১১ টি। বৃহস্পতিবার সকালে আলমডাঙ্গার কুমারী ভেটেরিনারি ইন্সটিটিউট হাসপাতালের উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মাসুদ আলী খান এক বছরের মেয়াদোত্তীর্ণ কৃমিনাশক ঔষধ ভেড়া খামারীর হাতে তুলে দেন। বাড়ি ফিরে ২০ টি ভেড়াকে সেই কৃমিনাশক পাওডার খাওয়ালে এ বিপত্তি ঘটে।
প্রতিবন্ধী এ ভেড়া খামারীর নাম হুমায়ুন কবীর। তিনি উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের আবু বকরের ছেলে। বৃহস্পতিবার দুপুরে হুমায়ুন কবীর মৃত ভেড়াগুলি পাখিভ্যানে নিয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় তিনি মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ প্রদানকারী উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মাসুদ আলী খানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানান।
অভিযুক্ত উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মাসুদ আলী খান জানান, অফিসের টেবিলের ড্রয়ার থেকে বের করে দিয়েছি। মেয়াদোত্তীর্ণ ছিল তা বুঝতে পারিনি। আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এ ঔষধ সরবরাহ করেছিলেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহিল কাফি জানান, ভুল করে ড্রয়ারে রাখার ফলে মেডিসিন মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে হয়তো। অসাবধানতাবশত উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ দিয়েছেন। তবে বিষয়টি ক্ষতিগ্রস্ত খামারীর সাথে বসে মীমাংসা করা হয়েছে।