আলমডাঙ্গার অপরাধ জগতের ডন হত্যাসহ হাফ ডজন মামলার আসামি ফজা ঢাকা থেকে গ্রেফতার
আলমডাঙ্গার অপরাধ জগতের ডন হিসেবে পরিচিত হত্যাসহ হাফ ডজন মামলার আসামি ফজাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে ডিবি পুলিশের সহযোগিতায় আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। ফজা আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার নওদা বন্ডবিলের মন্টুর ছেলে। আলমডাঙ্গার অপরাধ জগতের লাগাম টানতে সম্প্রতি আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ তৎপর হয়ে উঠে। সাম্প্রতিক কয়েকটি ছিনতাই ঘটনার পর থেকে এর অন্তরালের ডঙ্কে গ্রেফতার করতে পুলিশ মরিয়া হয়ে উঠে।
এক পর্যায়ে গত ১৯ এপ্রিল ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ সজিব ওরফে ফজাকে গ্রেফতার করে। ডিবির সহযোগিতায় এস আই আমিনুরের নেতৃত্বে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম তাকে গ্রেফতার করে। গ্রফতারের পর পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম জানান, কুখ্যাত অপরাধি ফজার বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় হত্যাসহ হাফ ডজন মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। থানাসূত্রে জানা জয়ায়, ২০২০ সালের একটি হত্যা মামলা, ২০১৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা, ২০১৬ সালে পিটিয়ে জখম করে ছিনতাই মামলা, ২০১৯ সালের মারামারি মামলা, ২০২১ সালের পিটিয়ে জখম করে ছিনতাই, ২০১৯ সালে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি চুরি মামলাসহ কমপক্ষে হাফ ডজন মামলার আসামি তিনি।
এলাকাসূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা –কুষ্টিয়া অঞ্চলের এক সময়ের কিশোর গ্যাংগ্রুপের অন্যতম নেতা ছিলেন আলমডাঙ্গার নওদা বন্ডবিলের সজিব ওরফে ফজা। চুয়াডাঙ্গা কুষ্টিয়া অঞ্চলে এক সময়ের কিশোর গ্যাংগ্রুপের তান্ডব ছিল সীমাহীন। এই গ্রুপের শীর্ষ নেতা ছিল আলমডাঙ্গার নিহত ইমরান। তার অন্যতম সহযোগি ছিল তমাল ও ফজা। ইমরান নিহত হওয়ার পর এ কিশোর গ্যাংগ্রুপ খেই হারিয়ে ফেলে।
এমন পরিস্থিতিতে তমালও নিজ এলাকা গোপালগঞ্জে ফিরে গেলে এ গ্যাংগ্রুপ আরও দুর্বল হয়ে পড়ে। কয়েক বছর তাদের তৎপরতা থেমে যায়। তারপর ফজা নিজের উদ্যোগে আবারও এ গ্রুপটিকে পুণর্জীবিত করতে চেষ্টা করছিলেন। কয়েকজনকে সাথে নিয়ে সে এলাকায় নানা অপকর্মে লিপ্ত ছিলেন।
ঢাকায় বসে তিনি কয়েক বছর ধরে আলমডাঙ্গার অপরাধ জগত নিয়ন্ত্রণ করতেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর থানা ও আলমডাঙ্গা থানায় হাফ ডজন মামলার হুলিয়া মাথায় নিয়ে তিনি ঢাকায় পলাতক ছিলেন। ইতোপূর্বেও ২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর বুধবার সন্ধ্যায় ফজা নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন গোপনে এমন সংবাদ পেয়ে আলমডাঙ্গা থানার এসআই কামরুল ইসলাম ও এএসআই মহানন্দ রায় নওদাবন্ডবিল এলাকায অভিযান চালিয়ে ফজাকে গ্রেফতার করে।