পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় খাসকররা বাজার সংলগ্ন কারিগরপাড়ার প্রায় অর্ধশত পরিবার পানি বন্দি
পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় আলমডাঙ্গার খাসকররা বাজার সংলগ্ন কারিগরপাড়ার প্রায় অর্ধশত পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। পানি নিষ্কামনের পাইপের উপর মাটি ভরাট করে ওয়াপদার জমিতে অবৈধভাবে দোকানঘর নির্মাণ করায় পানি বের হওয়ার রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর গণস্বাক্ষারকৃত স্মারকলিপি ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট প্রদান করেছেন।
জানাগেছে, উপজেলা খাসকররা বাজার সংলগ্ন কারিগরপাড়ায় প্রায় অর্ধশত পরিবার বসবাস করে। প্রায় প্রতি বছরই গঙ্গ-কপোতক্ষ সেচ প্রকল্পের পানি ওই এলাকা প্লাবিত হয়ে যায়। ইতোপূর্বে খাসকররা পূবপাড়া যাওয়ার ব্রিজের পাশে পানি নিষ্কাশনের পাইপ লাইন ছিল। যা গত কয়েক বছর আগে খাসকররার মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে মন্টু আলী ওরফে মন্টু কসাই পাইপ লাইন বন্ধ করে ওয়াপদার জমিতে অবৈধভাবে দোকান ঘর নির্মান করেছে। ফলে ওই এলাকার পানি বের হওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। গত কয়েকদিন আগে জিকে ক্যানেলে পানি ছাড়ে। ওই পানিতে কারিগরপাড়ার অর্ধশত পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।
কারিগরপাড়ার ভুক্তভোগি তাসলিমা খাতুন জানান, গত কয়েক বছর ধরে এই সময় হলেই আমরা পানি বন্দি হয়ে পড়ি। ওই পানি বের হওয়ার পাইপ লাইন বন্ধ করে দোকান ঘর নির্মান করায় এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই আমরা পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
ভুক্তভোগী আনিসুজ্জামান জানানা, এইপাড়ায় পানি জমে থাকার কারণে জীবন যাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আমরা বাড়িতে সফল নিয়ে এসে ঘরে তুলতে পারছি না। পানির কারণে আমরা চরম দূর্ভোগে পড়েছি। মন্টু কসাই ওয়াপদার জমি অবৈধভাবে দখল করে দোকান নির্মান করেছে। সে ক্যানেলের পাড়ের উপরও একটি দোকান নির্মান করেছে। এই বর্ষা মৌসুমের আগেই পানি নিষ্কামনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানাচ্ছি।
এদিকে এই পানি নিষ্কাশনের জন্য কারিগরপাড়ার সকলে গণস্বাক্ষর করে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর প্রদানের জন্য ১৬ এপ্রিল শনিবার খাসকররা ইউপি চেয়ারম্যান তাফসীর আহমেদ লাল মল্লিকের নিকট জমা দিয়েছেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, আনিসুজ্জামান, মোনায়েম হোসেন, হাবিবুর রহমান প্রমুখ।