চুয়াডাঙ্গায় চুরির মিথ্যা অপবাদে খুটির সাথে বেঁধে ৫ শ্রেণীর ছাত্রকে নির্যাতন
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি :চুয়াডাঙ্গার দোস্ত গ্রামে চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ৫ম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রকে খুটির সাথে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে, মায়ের দোয়া ফ্যাশন হাউজের মালিক পক্ষ থেকে বলা হয়েছে টাকা চুরি করার সময় হাতেনাতে ধরে ফেলার পর তাকে খুটির সাথে বেঁধে রাখা হয়েছিলো। ঘটনাটি গতকাল রোববার দুপুরে ঘটলেও আজ সোমবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হয়। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে শিশুর প্রতি এহেন আচরণের ধিক্কার জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দোস্ত গ্রামের মনোয়ার হোসেনের ছেলে আব্দুর রহমান (১০) দোস্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্র।গতকাল রোববার দুপুরে বিদ্যালয় চলাকালীন টিফিনের সময় সে পার্শ্ববর্তী মায়ের দোয়া ফ্যাশান হাউজে খাবার কিনতে যায়। এসময় দোকানদার টাকা চুরির মিথ্যা অভিযোগ তুলে আব্দুর রহমানকে দড়ি দিয়ে দোকানের সামনে খুঁটির সাথে বেঁধে রাখে। পথচারিরা শিশু ছেলেকে এভাবে নির্যাতন করার কারণ জানতে চাইলে দোকানদার সাফ জানিয়ে দেয় সে দোকান থেকে টাকা চুরি করেছে। তবে শিশুটির দেহ তল্লাশী করে কোন টাকা পায়নি লোকজন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোমিন বলেন, আমি জানতে পেরে দোকানে যায় এবং আমার ছাত্রকে মুক্ত করে আনি। তবে তার কাছে কোন টাকা পাওয়া যায়নি। আমি দোকানদারকে বলেছি আমার ছাত্র যদি কোনো অপরাধ করে থাকে তাহলে আমাকে বলতেন আমি ক্ষতিপুরণ দিতাম। মিথ্যা চুরির অপবাদ দিয়ে শিশুর প্রতি এহেন আচরণ কাম্য না।
এ ব্যাপারে দোকানে থাকা রোমানা বলেন, দোকানের একটি কৌটার ভেতর টাকা ছিলো। ওই কৌটা চুরির সময় আমি হাতেনাতে তাকে ধরেছি। তাই বেঁধে রেখে ছিলাম। এর আগেও বিদ্যালয়ের এক ছাত্রী এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।
এ ব্যাপারে দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফুন কবির জানান, এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।