আলমডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকের ড্রাইভার ও হেলপার নিহতঃ ড্রাম ট্রাক ড্রাইভারদের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন

চুয়াডাঙ্গা -কুষ্টিয়া সড়কের আলমডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকের ড্রাইভার ও হেলপার নিহত হয়েছেন। গত সোমবার দুপুর ১টার দিকে শ্রীরামপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনে বালিভর্তি ড্রাম ট্রাককে সাইড দিতে গিয়ে ভুট্টা বোঝায় ট্রাক সড়কের পাশের ইরিগেশন খালের ভেতর উল্টে ড্রাইভার আল আমিন (৪০) ও হেলপার আশিক (২৮) নিহত হন। তাদের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার ইব্রাহিমপুর। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রকৃত লাইসেন্সধারী ড্রাইভারের পরিবর্তে হেলপার দিয়ে ড্রাম ট্রাক চালানোর কারণে অধিকাংশ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে বলে দাবি করেছেন বাস-ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ের নেতৃবৃন্দ।

প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ বাজার থেকে ভুট্টা নিয়ে ট্রাকটি ঢাকা নারায়পুর যাচ্ছিল। পথিমধ্যে চুয়াডাঙ্গা -কুষ্টিয়া সড়কের আআলমডাঙ্গার শ্রীরামপুরের কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে বেপরোয়া গতিতে ছুটে আসা বালিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাককে সাইড দিতে গিয়ে ভুট্টাভর্তি ট্রাকটি সড়কের পাশের গাছে ধাক্কা দেয়। গাছ ভেঙ্গে পরে ট্রাকটি পাশের ইরিগেশন খালের ভেতর পড়ে। এতে ড্রাইভার ও হেলপার দুজনেই নিহত হন। নিহত ড্রাইভার আল আমিন চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার ইব্রাহিমপুরের অহিদুল ইসলামের ছেলে ও হেলপার আশিক একই গ্রামের হাফিজুল ইসলামের ছেলে।
আলমডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার মোখলেছুর রহমান জানান, ঘটনা জানতে পেরে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। খালের ভেতর উল্টে যাওয়া ট্রাকের নীচ থেকে দুটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম জানান, দ্রুত গরিসম্পন্ন বালিভর্তি ড্রাম ট্রাককে সাইড দিতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে নিহত ড্রাইভার ও হেলপারের পরিচয় জানা গেছে।
গতকাল রাত ৯টায় জানাযা শেষে গ্রামের কবরস্থানে তাদের লাশ দাফন করা হয়েছে।
গ্রামসূত্রে জানা যায়, নিহত ড্রাইভার আল আমিনের একমাত্র ছেলে ক্লাস নাইনে পড়ে। হেলপার আশিকের একমাত্র ছেলের বয়স মাত্র ৭ মাস।
এদিকে, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রকৃত লাইসেন্সধারী ড্রাইভারের পরিবর্তে হেলপার দিয়ে ড্রাম ট্রাক চালানোর কারণে অধিকাংশ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে বলে দাবি করেছেন বাস-ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ের নেতৃবৃন্দ। বাসট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের আলমডাঙ্গা শাখার সভাপতি রিয়াজ উদ্দীন জানান, ড্রাম ট্রাকের অধিকাংশ ড্রাইভারের লাইসেন্স নাই। এরা খুব রাফ গাড়ি চালায়। এদের ব্যাপারে কুষ্টিয়া প্রশাসন কঠোর ভূমিকা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গতকাল বিকেলে রাফ গাড়ি চালানোর কারণে এক ড্রাম ট্রাক ড্রাইভারকে আলমডাঙ্গা পশুহাটের নিকট লাঞ্চিত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রশাসন ব্যবস্থা নিলে আমরা সহযোগিতা করবো।