গভীর রাতে বিবাহিত বান্ধবীর বাড়িতে ঢুকে প্রচন্ড পিটুনির স্বীকার পুলিশ সদস্য নিশান
গভীর রাতে গোপনে বিবাহিত বান্ধবীর বাপের বাড়িতে ঢুকে প্রচন্ড পিটুনির শিকার এক পুলিশ কনসটেবল থানায় গিয়ে বান্ধবীর বাপের বিরুদ্ধে মিথ্যা ছিনতাইয়ের অভিযোগ করেছেন। আলমডাঙ্গার হারদী গ্রামের আব্দুল কাদের জিলানীর ছেলে পুলিশ কনস্টেবল নিশানের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। নিশান পিরোজপুর জেলায় পুলিশ কনসটেবল হিসেবে কর্মরত।
গত শনিবার গভীর রাতে প্রচন্ড পিটুনি খাওয়ার পর নিশান বর্তমানে হারদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।
এলাকাসূত্রে জানা যায়, আলমডাঙ্গার হারদী গ্রামের নিশান পুলিশের কনস্টেবল হিসেবে পিরোজপুর জেলায় কর্মরত। তিনি কেশবপুর গ্রামের এক সেনাসদস্যের স্ত্রীর সাথে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। প্রেমিকা বর্তমানে বাপের বাড়িতে অর্থাৎ কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার মালিহাদ গ্রামের বাপের বাড়িতে অবস্থান করছেন।
এরই মাঝে নিশান ছুটিতে বাড়ি ফিরে প্রেমিকার সাথে দেখা করতে যেতে অধীর হয়ে পড়েন। শনিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে তিনি প্রেমিকার বাপের বাড়ি প্রবেশ করে প্রচন্ড মারধরের শিকার হন। কোন প্রকারে পালিয়ে গিয়ে রাতেই উপস্থিত হন আলমডাঙ্গা থানায়। মিথ্যা অভিযোগ করেন প্রেমিকার বাপের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের। অভিযোগ করেন যে রাতে ওসমানপুর গ্রামে ছিনতাইকারীরা তাকে মারধর করে মোটরসাইকেল ছিনতাই করে নিয়েছেন।
প্রেমিকার বাবা হাসান আলী জানান, নিশানের সাথে আমার মেয়ে এক স্কুলে পড়তো। সেই সূত্রে পরিচয়। শনিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে নিশান আমার বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে আমার রুমের জানালায় গিয়ে ৩ বার মেয়ের নাম ধরে ডাকে। আমি সাথে সাথেই ঘর থেকে বের হয়ে দুইটা গেট খুলে তাড়িয়ে ধরে ফেলি নিশানকে। তাকে পিটিয়েছি। পরে ছেড়ে দিলে সে থানা পুলিশের কাছে গিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করে। মিরপুর থানার ওসি পরে আমার বাড়ি এসে সব কিছু জেনে শুনে গেছেন।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম জানান, এমন একটা কিছু ঘটেছিল। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছিল যে হয়তো কোন ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু ঘটনাস্থল আমাদের থানার বাইরে। তাই কোন পদক্ষেপ কিংবা পরবর্তিতে কোন ব্যবস্থা নিতে পারিনি। সংশ্লিষ্ট থানায় যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছি।
এঘটনায় আইনী পদক্ষেপ নেবেন বলে প্রেমিকার বাবা হাসান জানিয়েছেন।