উত্ত্যক্তে অতিষ্ঠ প্রবাসির রূপবতী স্ত্রীর আত্মহত্যা মামলার প্রধান আসামী শাকিল মাস্টার গ্রেফতার
আলমডাঙ্গার কামালপুর গ্রামে উত্ত্যক্তের কারণে প্রবাসীর রূপবতী স্ত্রীর আত্মহত্যার মামলার প্রধান আসামি শাকিল মাস্টারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৭ মার্চ বিকালে আঠারোখাদা বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে।
জানা যায়, কামালপুর গ্রামের প্রবাসী নাজমুল ইসলামের রূপবতী স্ত্রী সোনিয়া খাতুন (২২) উত্ত্যক্তকারীদের অত্যাচারে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি আত্মহত্যা করেন। কামালপুর গ্রামের শাকিল হোসেনের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন তাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল।
একই গ্রামের মঙ্গল আলীর ছেলে শাকিল হোসেন (৪৫) আঠারোখাদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। স্বামী বিদেশ চলে যাওয়ার পর থেকেই শাকিল হোসেন প্রতিবেশির স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। এমনকি তার সাথে সোনিয়ার পরোকীয়ার সম্পর্ক আছে বলে গ্রামে প্রচার করে।
পরে শাকিলের সাথে একই গ্রামের মৃত খবিরের ছেলে বয়স্ক কলিম উদ্দীন, ফনির ছেলে রনি, আবুল কাশেমের ছেলে উজ্জ্বল, সোনিয়াকে উত্ত্যক্ত করতো। এ সব কথা শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে বললেও তারা কোন পদক্ষেপ নেননি। শাকিল হোসেনের পরিবার এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় প্রতিবাদ করার সাহস ছিল না সোনিয়ার শ্বশুরের পরিবারের।
এরই এক পর্যায়ে ২৫ ফেব্রæয়ারি সকালে ঘরের আড়াই গলায় ওড়নায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। এ আত্মহত্যার পর পর অভিযুক্ত শিক্ষক শাকিলসহ উক্ত ৮ ব্যক্তিই কিছুদিন নিরুদ্দেশ ছিলেন।
এ ঘটনায় সোনিয়া খাতুনের বাপ সকির উদ্দীন বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলার প্রধান আসামী শাকিল মাস্টারকে ৭ মার্চ পুলিশ আঠারোখাদা বাজার থেকে আলমডাঙ্গা থানার এস আই আমিনুল হক সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাকে গ্রেফতার করেছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতার করতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
৮ মার্চ মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট মামলায় তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।