আলমডাঙ্গার ঘোষবিলা পশহাটের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত
আলমডাঙ্গার ঘোষবিলা পশুহাটের সাপ্তাহিক হাটের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন দেওয়ানি আদালত। বাদি রাহাব উদ্দিন ও সাহিদুল ইসলামের আর্জির প্রেক্ষিতে নিষেধাজ্ঞার পাশাপশি বিবাদি আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও জামজামী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে কারন দর্শানোর নোটিশ জারি করেছেন। গতকাল বুধবার আলমডাঙ্গার সিনিয়র সহকারী জজ ওই অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন।
জানা গেছে, ১০৪ নং ঘোষবিলা মৌজার আর এস ১০০ নং খতিয়ান ভুক্ত আর এস ১৮ নং দাগের জমাজমিসহ অন্যান্য দাগের .০২৭ অংশের স্বত্ববান ও দখলদার ছিলেন হাজের আলী। হাজের আলীর মৃত্যুর পর উল্লেখিত জমির প্রাপ্ত হন বাদি রাহাব আলী ও সাহিদুল ইসলাম। এরপর থেকে বাদিদ্বয় ওয়ারিশ সূত্রে ওই জমি পেয়ে ভোগদখল করতে থাকেন।
গত ৯ সালের নভেম্বরের ১ তারিখে পশুহাট স্থাপনের জন্য জমির প্রয়োজন পড়লে বাদিদ্বয় ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া.৪০ শতক জমি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের নামে নালিশি ৫৭৭৮ নং দান পত্র দলিলের মাধ্যমে রেজিস্ট্রি করে দেন। বাদিদ্বয়ের বক্রী নালিশী .৮৯ শতক ও তাদের শরিকদের জমিসহ আরএস ১৭,১৬,১৫ ও ১৯ দাগে সর্বমোট নালিশী ২.৭৯ একর জমি পশুহাট সংলগ্ন রয়ে যায়।
ওই জমিতে বাদিদ্বয় ও তাদের শরিকদের নির্মানাধীন চালাঘর, টিনের ছাউনিযুক্ত ঘর, দোকান ঘর, সেমি পাকা দোকান ঘর নির্মান করে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ভাড়া দিয়ে ভোগ দখল করে আসছেন। ইতোমধ্যে স্বার্থান্বেষি লোকের কুপ্ররোচনায় নালিশী তফশিল বর্নিত জমি বিবাদি দরপত্র বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ইজারা দেওয়ার পায়তারা করছেন।
বাদি পক্ষের আর্জির প্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার আলমডাঙ্গার সিনিয়র সহকারী জজ ওই হাটের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা ও বিবাদিদের ৭ কায়দিবসের মধ্যে কারন দর্শানোর আদেশ জারি করেন।