আলমডাঙ্গা সাব রেজিস্টারকে জন দূর্ভোগ সৃস্টি না করতে সতর্ক করলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও

সকাল ৯টার পরিবর্তে স্নধ্যা পৌণে ৬টায় আলমডাঙ্গার সাব-রেজিষ্টার অফিসে পৌঁছলেন। এমন ঘটনা নিত্যকার। সাব-রেজিস্টারের এত বিলম্বে অফিসে আসার কারণে বিলম্বে অফিসে আসায় ব্যাপক জন দূর্ভোগের সৃস্টি হচ্ছে।
১০ আগস্ট সোমবার সন্ধ্যার আগে অফিসে উপস্থিত হলে জমি ক্রয়-বিক্রয় করতে আসা দূর-দূরান্তের মানুষের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃস্টি হয়। তারা প্রতিকার দাবি করেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও-র কাছে।
এরই প্রেক্ষিতে আলমডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও গতকাল সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে সাব রেজিস্টারকে ভবিষতে জনদূর্ভোগ সৃস্টি হয় এমন কাজ না করার জন্য সতর্ক করে দেন।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গায় গতকাল সোমবার ছিল রেজিস্ট্রি কার্যক্রমের দিন। উপজেলা সাব-রেজিষ্টার মামুন বাবর বিকেল সাড়ে ৫টা বাজলেও অফিসে না আসায় প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে জমি রেজিস্ট্রি করতে আসা শ শ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েন।
ভুক্তভোগীরা উপজেলা চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন ও নির্বাহী অফিসার মোঃ লিটন আলীকে বিষয়টি অবহিত করলে তাঁরা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে যান। তখনও সাব-রেজিস্টার অনুপস্থিত ছিলেন।
কিছু সময় সেখানে থাকার পর তারা ফিরে যান। এদিকে পৌণে ৬ টার দিকে সাব রেজিন্ট্রার মামুন বাবর রেজিস্ট্রি অফিসে পৌঁছলে আবারও উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও তার অফিসে উপস্থিত হন ।
তারা সাব-রেজিস্টারকে বিলম্বে আসার কারণ জানতে চান। সে সময় সাব-রেজিস্টার মামুন বাবর ঢাকা থেকে আসতে ফেরিতে বিলম্ব হয়েছে জানিয়ে ভবিষ্যতে এমন হবে না বলে অঙ্গিকার করেন।
বিলম্বে অফিসে আসার বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন বলেন, সাব রেজিস্টার সকাল ৯টা থেকে ৩টা পর্যন্ত অফিস করবেন বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও আমার সামনে ওয়াদা করেছেন।
পূর্বেও একবার তিনি দেরি করে আসার বিষয়ে আমার নিকট এমন ওয়াদা করেছিলেন। এবার দেখা যাক অঙ্গীকার ঠিক রাখেন কী-না। যদি আবারও অঙ্গীকার ভঙ্গ করেন তাহলে প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ লিটন আলী জানান, ভবিষ্যতে অফিসে আসতে আর বিলম্ব হবেনা এই অঙ্গীকার করেছেন সাব রেজিষ্টার। তারপরও তিনি বিলম্ব করলে তাকে অফিসে ঢুকতে দেওয়া হবেনা। তার বিরুদ্ধে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ পাঠানো হবে।