হরিণাকুন্ডুতে ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রীকে ধর্ষণ; থানায় ধর্ষন মামলা দায়ের, ধর্ষক ও তার সহযোগী পলাতক
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ- ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামে ষষ্ঠ শ্রেনীর এক ছাত্রী পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে। গত ১০ ফেব্রয়ারি চুলে তেল দেওয়ার কথা বলে প্রতিবেশি এক দাদী ওই ছাত্রীকে বিশারত আলী (৫০) নামে এক লম্পটের হাতে তুলে দেয়। হাত ও মুখ বেঁধে লম্পট বিশারত তার উপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। লোকলজ্জার ভয় ও স্থানীয় মাতুব্বররা বিচারের আশ্বাস দিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দিয়ে রাখ হয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধার দিকে ঘটনাটি জানাজানি হয়ে পড়লে হরিণাকুন্ডু থানার পুলিশ এসে ভিকটিম ও তার মাকে থানায় নিয়ে যায়। লম্পট বিশারত রঘুনাথপুর গ্রামের মহর আলী ওরফে মওরার ছেলে। এলাকাবাসি জানায় রঘুনাথপুর গ্রামের ওই ছাত্রী মান্দিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী। গত ১০ ফেব্রয়ারি সন্ধ্যার দিকে প্রতিবেশি দাদি ছালেহা খাতুন ওই ছাত্রীকে চুলে তেল দেওয়ার কথা বলে তার বাড়ীতে ডেকে নিয়ে যায়।
মেয়েটি ঘরের মধ্যে প্রবেশের সাথে সাথে আগে থেকেই ঘরে লুকিয়ে থাকা লম্পট বিশারত ঘরের দরজা ছিটকানি দিয়ে হাত পা ও মুখ বেঁধে তার উপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। ধর্ষিতাকে ভয় ভীতি দেখিয়ে বিশারত বলে এ ঘটনা কাউকে জানালে খুন করে ফেলবো। মেয়েটি বাড়িতে গিয়ে ঘটনাটি তার মায়ের কাছে জানালে তার পিতা মাতা অনেকটা লোকলজ্জার কারণে তারা গোপন রাখে।
তাছাড়া সামাজিক নেতারাও সুষ্ঠ বিচারের আশ্বাস দেওয়ায় মামলা করতে যায়নি। গ্রামবাসির অভিযোগ রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত আব্দুল ওয়াহেদের স্ত্রী ছালেহা বেগমের সঙ্গে লম্পট বিশারতের দীর্ঘদিন ধরেই সম্পর্ক রয়েছে। ছালেহার ঘরবাড়ি ও সংসার চালায় বিশারত। গ্রামের যুবতী নারিদের ফুসলিয়ে নিয়ে ছালেহা বেগম বিশারতের হাতে তুলে দেয়। ইতিপুর্বে এমন দুইটি ঘটনা নিয়ে গ্রামে সালিশ বৈঠকও হয়েছে।
এ বিষয়ে হরিণাকুন্ডু থানার ওসি আব্দুর রহিম মোল্লা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি ধর্ষন মামলা হয়েছে। লম্পট বিশারত ও তার সহযোগী ছালেহা বেগম পলাতক রয়েছে।