আলমডাঙ্গায় হঠাৎ গজিয়ে উঠা “আশকারা ফাউন্ডেশন” গ্রাহকের লাখ লাখ টাকা নিয়ে উধাও
আলমডাঙ্গায় হঠাৎ গজিয়ে উঠা “আশকারা ফাউন্ডেশন” গ্রাহকের লাখ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে। স্বল্প সময়ে গ্রাহকদের ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এই প্রতিষ্ঠান এলাকার অর্ধ শতাধিক গ্রাহকের নিকট থেকে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে গা-ঢাকা দিয়েছে। প্রতারিত গ্রাহকরা অবশেষে থানা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি আলমডাঙ্গার স্টেশনপাড়ায় সিরাজুল ইসলামের বাড়ি ভাড়া নিয়ে হঠাত সেখানে “ আশকারা ফাউন্ডেশন” নামে এক ভুঁইফোড় অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানের উদ্ভব ঘটে। ২০ হাজার করে টাকা নিয়ে সেখানে ফিল্ড অফিসার হিসেবে বেশ কয়েকজন যুবককে নিয়োগ দেন ম্যানেজার পরিচয়দানকারী মিরাজুল ও অ্যাকাউন্টেন্ট মাসুদ আলম। তারা গ্রাহককে স্বল্প সময়ে ও সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন এলাকায়। এলাকাবাসির অনেকেই সেই প্রলোভনে পা বাড়ায়।
১ লাখ টাকা ঋণ পেতে গ্রাহকের নিকট থেকে নেওয়া হয় ১০ হাজার টাকা করে অগ্রিম সিকিউরিটি। মাত্র দেড় সপ্তাহে গ্রাহকের নিকট থেকে কয়েক লাখ সিকিউরিটি বাবদ টাকা হাতিয়ে নেয়। এরই মাঝে কোন গ্রাহককে ঋণ না প্রদান করেই অফিসে তালা লাগিয়ে সটকে পড়েছে “আশকারা ফাউন্ডেশন” ম্যানেজার, অ্যাকাউন্টেন্ট কিংবা ফিল্ড অফিসার কাউকেই আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
পাঁচলিয়া গ্রামের হারুন অর রশিদ জানান, দেড় লাখ টাকা ঋণের আশায় তিনি সিকিউরিটি হিসেবে দিয়েছেন ১৫ হাজার টাকা। তাছাড়া, একই গ্রামের উজ্জ্বল আলী, সোহেল আলী, শহিদ আলী, শুকুর আলী ও মিলন দেড় লাখ টাকা, এরশাদপুর গ্রামের গ্রামের সকেনা খাতুন ১০ হাজার, সোনা বানু ১০ হাজার, রেনু খাতুন ১০ হাজার, রুবিনা খাতুন ৬ হাজার, রুমা খাতুন ৬ হাজার, আলেয়া খাতুন ৩ হাজার করে সিকিউরিটি বাবদ টাকা জমা করেছিলেন।
এদের কেউ ঋণ পাননি। এদের মত অনেককেই গতকাল “আশকারা ফাউন্ডেশনের” তালাবদ্ধ অফিসের সামনে হায়হুতাশ করতে দেখা গেছে। ক্ষুদ্ধ গ্রাহকের পক্ষে হারুণ অর রশিদসহ কয়েকজন ৩১ জানুয়ারি আলমডাঙ্গা থানায় উপস্থিত হয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন।