ঘোষবিলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির ৫ সদস্য বিনা ভোটে নির্বাচিত করায় লিগ্যাল নোটিশ

আলমডাঙ্গার ঘোষবিলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির ৫ সদস্য বিনা ভোটে নির্বাচিত করার ঘটনায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার ইমরুল হক ও প্রধান শিক্ষক জিয়াউল হকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে উকিল নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।
জানা যায়, সম্প্রতি আলমডাঙ্গার ঘোষবিলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠণের উদ্দেশ্যে ৫ জন ব্যক্তিকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত দেখানো হয়েছে। এলাকায় মাইকিং না করে, শিক্ষার্থি ও অভিভাবকদের অগোচরে পছন্দের ৫ ব্যক্তিকে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য নির্বাচিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। অভিভাবক সদস্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা উপেক্ষা করা হয়েছে।
এমন অভিযোগ তুলে ঘোষবিলা গ্রামের অভিভাবক আলাউদ্দীন, নজরুল ইসলাম, জামজামি গ্রামের জমির উদ্দীন ও পার্শ্ববর্তী ইবি থানার নৃসিংহপুরের ইয়াসিন আলীর পক্ষে চুয়াডাঙ্গা জজ কোটের অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম গত ২৬ জানুয়ারি লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেছেন।
সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিয়াউল হক, বিদ্যালয় পরিচালনাে অ্যাডহক কমিটির সভাপতি রেজাউল করিম, অ্যাডহক কমিটির সদস্য সাইদুর ইসলাম, অ্যাডহক কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি মল্লিকা খাতুন, প্রিজাইডিং অফিসার উপজেলা অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার ইমরুল হক উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল বারী, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড যশোরের চেয়ারম্যান ও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর খুলনা আঞ্চলিক মহাপরিচালক বরাবর এ লিগ্যাগ নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।
ছাত্র অভিভাবক ঘোষবিলা গ্রামের আলাউদ্দীন জানান, কোন প্রচার প্রচারণা ছাড়া ও সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে প্রধান শিক্ষক তার পছন্দের ৫ ব্যক্তিকে সদস্য নির্বাচিত দেখিয়েছেন। অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজারের যোগসাজসে প্রধান শিক্ষক এই অপকর্ম করেছেন।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক জিয়াউল হক বলেন, নিয়ম মাফিক সদস্য নির্বাচন করা হয়েছে। কোন অনিয়ম করা হয়নি। তাছাড়া, এখনও তো সভাপতি নির্বাচিত করা হয়নি।
অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার ইমরুল হক বলেন, বিধিমালা অনুসরণ করেই সদস্য নির্বাচনের নির্দেশনা দিয়েছিলাম প্রধান শিক্ষককে। তিনি সেটা না মানলে বা অনিয়ম করলে তার দায়ভার প্রধান শিক্ষককেই বহন করতে হবে।