আলমডাঙ্গায় নিখোঁজের ৬ দিন পর মাথাভাঙ্গা নদী থেকে যুবতী গৃহবধূর লাশ উদ্ধার

রাতে নিখোঁজের ৬ দিন পর গ্রামের মাথাভাঙ্গা নদী থেকে আলমডাঙ্গার নগরবোয়ালিয়ার যুবতী গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ২৪ জানুয়ারি বিকেলে হাটবোয়ালিয়া ফাঁড়ি পুলিশ নদীর পানি থেকে গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেন। উদ্ধারকৃত লাশের গলায় দাগ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ধর্ষণ শেষে যুবতীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ নদীর পানিতে ডুবিয়ে রাখা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ স্বামী ও প্রতিবেশী এক যুবককে আটক করেছে।

জানা যায়, প্রায় ১১ বছর পূর্বে নগরবোয়ালিয়া গ্রামের অল্প বুদ্ধিসম্পন্ন যুবক তুহিন আলীর (৩২) সাথে একই উপজেলার বেলগাছি গ্রামের নূর ইসলাম ভোলার মেয়ে পপি খাতুনের (২৬) বিয়ে হয়। তাদের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। গত ১৯ জানুয়ারি রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলে তুহিন আলী তার স্ত্রী পপি খাতুনকে খুঁজে পাননি। তারপর থেকে গৃহবধু নিখোঁজ ছিলেন। দীর্ঘ ৬ দিন পর বাড়ি থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে নিজ গ্রামের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত মাথাভাঙ্গা নদীর পানিতে লাশ ভাসতে দেখা যায়। গ্রামবাসি এ ঘটনা পুলিশকে জানালে পুলিশ বিকেলে নদী থেকে লাশ উদ্ধার করেছে। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে স্বামী ও তার ব্যবসায়িক পার্টনার প্রতিবেশি যুবক ঝন্টু আলীকে পুলিশ আটক করেছে।

লাশ উদ্ধারের পর গৃহবধুর শিশুকন্যা মিম মায়ের লাশ শনাক্ত করে। সে সময় লাশের গলায় লাল দাগ ছিল ও জিহেয়া মুখগহ্বর থেকে বেরিয়ে ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

আলমডাঙ্গা থানার ওসি (তদন্ত) তুহিনুজ্জামান জানান, গৃহবধুকে হত্যা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এমন সন্দেহ করার ভিত্তি রয়েছে। তবে ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর সে অনুযায়ি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গ্রামসূত্রে জানা যায়, নিহত গৃহবধুর স্বামী অল্প বুদ্ধিসম্পন্ন। তবে গুঞ্জন উঠেছে প্রতিবেশি মাছ ব্যবসায়ী যুবক নেক আলীর সাথে গৃহবধুর অন্তরঙ্গ সম্পর্ক ছিল। লাশ উদ্ধারের পর থেকে নেক আলী নিরুদ্দেশ। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে বার বার রিং দিয়েও পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনসেট বন্ধ ছিল। এ বিষয়টিও পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখছে বলে জানা যায়।