আলমডাঙ্গার পাঁচলিয়া গ্রাম থেকে বাঘডাশা আটকের পর বন বিভাগের সহায়তায় অবমুক্ত
শরিফুল ইসলাম রোকন : আলমডাঙ্গা পুরাতন পাঁচলিয়া গ্রামে থেকে বাঘডাশা আটকের পর বন বিভাগের সহায়তায় অবমুক্ত করা হয়েছে। ১৯ জানুয়ারী বুধবার ভোররাতে খাবারের সন্ধানে পাঁচলিয়া গ্রামে আসলে সেটাকে গ্রামবাসি আটক করে। সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে আলমডাঙ্গা বনবিভাগের সদস্যরা উদ্ধার করে। পরে পাচলিয়া গ্রামের মাঠের ক্যানেলে বাঘডাশাটি অবমুক্ত করেন।
জানাগেছে, উপজেলার জামজামি ইউনিয়নের পাঁচলিয়া গ্রামের বিলপাড়ার আহাদত আলীর বাড়িতে রাতে খাবারের সন্ধানে ঢুকে পড়ে। পরে আহাদত আলী গ্রামবাসির সহযোগীতায় বাঘডাশাটি আটক করে। সকালে গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে আহাদত আলীর বাড়িতে বাঘ ধরা পড়েছে। পরে সেখানে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও জামজামি ক্যাম্প পুলিশ উপস্থিত হয়। পরে সংবাদ দেওয়া হয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বন বিভাগকে। পরে বন বিভাগের কর্মকর্তা উপস্থিত হয়ে বাঘডাশাটি উদ্ধার করে। উদ্ধারের পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নূরের নির্দেশে বন বিভাগের কর্মকর্তা শাকিল পারভেজ, ইউপি সদস্য রাশেদুজ্জামান রাজিব, মতিয়ার রহমান লাড্ডু, জামজামি ক্যাম্প এএসআই শহিদুল ইসলাম উপস্থিত থেকে পুরাতন পাঁচলিয়ার পাশ ক্যানেলে বাঘডাশাটি অবমুক্ত করা হয়।
আলমডাঙ্গা বন বিভাগের কর্মকর্তা শাকিল পারভেজ বলেন, পুরাতন পাঁচলিয়া গ্রামে থেকে বিরল প্রজাতীর প্রাণী বাঘডাশা আটকের সংবাদ পেয়ে বাঘডাশাটি গ্রামবাসির হাতথেকে উদ্ধার করি। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশক্রমে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও জামজামি ক্যাম্প পুলিশের সহায়তায় অবমুক্ত করা হয়েছে।
ইউপি সদস্য রাশেদুজ্জামান রাজিব , ‘বিপন্নপ্রায় বাঘডাশ দুটি অবমুক্ত করতে পেরে ভালো লাগছে। এদের প্রতি খারাপ আচরণ না করলে এরা কারও সঙ্গে খারাপ আচরণ করে না। এসব প্রাণী খুবই উপকারী। আসুন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সবাই মিলে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ করি।’