জগন্নাথপুরের গৃহবধূর লাশ খুলনা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে পোস্টমর্টেম শেষে দাফন

আলমডাঙ্গার রেল জগন্নাথপুরের গৃহবধূ বিলকিসের লাশ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে পোস্টমর্টেম শেষে রাতে দাফন করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত হত্যা মামলার আসামি এক দেবরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
দেবরের বউয়ের পরোকীয়ার কাহিনি জেনে যাওয়ায় তাকে ৩ দেবর মিলে শনিবার দিনগত গভীর রাতে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। এমন অভিযোগ তুলে নিহত গৃহবধূর বাবা রবিবার সন্ধ্যায় আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। লাশ সুরতহাল প্রতিবেদনে অস্বাভাবিক রক্তপাতের বিষয় উল্লেখ থাকায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকদের বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে পাঠায়।
জানা যায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের আকাম উদ্দীন ওরফে আকালের মেয়ে বিলকিস খাতুনের (২৫) গত ৯/১০ বছর আগে একই গ্রামের রেলজগন্নাথপুর পাড়ার মৃত ইয়ামিন ফরায়জীর ছেলে বড় লাল্টুর সাথে বিয়ে দেওয়া হয়। লাল্টু ঢাকায় অবস্থান করে মোজাইক মিস্ত্রির কাজ করেন। বাপ্পী নামের তাদের ৫ বছরের একটা ছেলে আছে।
লিখিত অভিযোগসূত্রে জানা যায়, মৃত গৃহবধূর দেবরের বউ পরোকীয়া সম্পর্কে লিপ্ত। এ কথা জেনে যাবার পর তিনি বিষয়টি পরিবারের সকলকে জানিয়ে দেন। এতে পরিবারের সকলেই গৃহবধূ বিলকিস খাতুনের বিরুদ্ধে একাট্টা হয়ে লাগে। গত শনিবার গভীর রাতে বিলকিসের বাবা সংবাদ পান যে, তার মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। সংবাদ পেয়ে তিনি সপরিবারে দ্রুত মেয়ের শ্বশুর বাড়ি যান। সেখানে গিয়ে দেখেন যে মেয়ের লাশ তার বেডের উপর পড়ে আছে। নাকমুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। তিনি দাবি করেন - গৃহবধূকে তার ৩ দেবর শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেছে। মৃত বিলকিসের শিশুপুত্র জানিয়েছে যে তার আম্মাকে কাকুরা গলা টিপে মেরেছে।
আলমডাঙ্গা থানার এসআই সঞ্জীত কুমার জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাসলে গিয়ে দেখেন লাশ বেডে পড়ে আছে। লাশের গলায় জড়ানো ওড়নার এক প্রান্ত ঘরের আড়ার সাথে ঝুলছিল। লাশের নাক মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়েছিল।
নিহত গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার আসামি হিসেবে নিহত গৃহবধূর দেবর বেল্টুকে পুলিশ গ্রেফতার করে গতকাল জেলহাজতে প্রেরণ করেছে।
।