পরিকল্পিত ভাবে কোটচাঁদপুরে সাংবাদিককে হত্যা চেষ্টা, অভিযোগের পরেও আসামিরা গ্রেপ্তার নেই!
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ- ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর হাসপাতাল মোড় এলাকায় সংবাদ সংগ্রহের সময় কোটচাঁদপুর রিপোর্টার্স ইউনিটি’র সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রমজান আলী (৩২) নামে এক সাংবাদিককে পিটিয়ে জখম করে হত্যা চেষ্টা করেছে সন্ত্রাসীরা। আহত সাংবাদিক মোঃ রমজান আলী কোটচাঁদপুর পৌর শহরের ২নং ওয়ার্ডের গাবতলা পাড়ার আবুল খায়েরের ছেলে। গত বৃহস্পতিবার (২৯শে ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে সাতটার দিকে হাসপাতাল মোড় এলাকায় এঘটনা ঘটে।
আহত সাংবাদিক রমজান আলী জানান গত ২৯শে ডিসেম্বর সকাল সাড়ে সাতটার দিকে খবর আসে জমাজমি সংক্রান্ত বিষয়ে ঝিনাইদহ আদালতে মামলা চলমান অবস্থায় এলাকার সাফা উদ্দীন নামে এক ব্যবসায়ীর দোকানঘর অবৈধ ভাবে ভাংচুর করছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে সংবাদ সংগ্রহের জন্য ঘটনাস্থলে যায় এবং দোকান ভাংচুরকারী ফয়েজ আলী মন্ডলের ছেলে তোয়াজ উদ্দীন ও তায়াজ উদ্দীনের ছেলে শাহারিয়ার পারভেজ এর সাথে কথা বলতে গেলে এক পর্যায়ে তারা বাপ ছেলে তরিকুল ইসলামের ছেলে ও স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা ফারুক হোসেন পরিকল্পিত ভাবে আমার ওপর হামলা চালায়।
এক পর্যায়ে ফারুক হোসেন আমাকে জাপটে ধরে রাখে এবং শাহারিয়ার পারভেজ একটি কাঠের বাটাম তুলে আমার মাথার পিছনে কপালে ও হাতে পায়ে এবং একের পর এক আঘাত করে রক্তাত্ত জখম করে আমাকে হত্যা চেষ্টা করে। এঘটনার পর আমার আর্তচিৎকার শুনে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আমার মাথায় ৫টি সেলায় দেয়া হয়েছে।
বাম হাতের একটি আঙুল ভেঙে গেছে এবং হাতে পায়েসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের আলামত রয়েছে। আহত সাংবাদিক রমজান আলী আরো জানান তাকে হত্যা চেষ্টা করার পরেও কোটচাঁদপুর মডেল থানায় তার মামলাটি রেকর্ড করা হয়নি। অথচ আমাকে পিটিয়ে জখম করে আসামিরা কোটচাঁদপুর থানায় আমার নামে একটি মিথ্যা চাঁদাবাজির দায়ে অভিযোগ দায়ের করেছে। কারন আসামিরা প্রভাবশালী, তাই আসামিদের বিরুদ্ধে আমার মামলাটি গ্রহণ কার হয়নি। শুধুমাত্র অভিযোগ আকারে আমার মামলাটি গ্রহন করা হয়েছে।
সাংবাদিক রমজান অভিযোগ করে বলেন অজ্ঞাত কারনে কোটচাঁদপুর থানা পুলিশ আসামিদের বাঁচানোর জন্য চেষ্টা করছে। এদিকে সাংবাদিক হত্যা চেষ্টার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সাংবাদিক সমাজ। সাংবাদিক সমাজ দাবি করে বলেন আসামিদের গ্রেপ্তার করে দ্রæত বিচার কার্যকর করা হোক। এবিষয়ে কোটচাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব মঈন উদ্দিন জানান আমরা দু’পক্ষ থেকে দুইটি অভিযোগ পেয়েছি। দুইটি অভিযোগই তদন্ত করে ব্যাবস্থা নেয়া হচ্ছে।