২৫শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিশু সন্তানকে জিম্মি করে টাকা ছিনতাই ও চেক ছিড়ে ফেলার অভিযোগ

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
ডিসেম্বর ২৯, ২০২১
188
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 



স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ- জমি বিক্রির পাওয়ানা টাকা চাইতে গিয়ে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন এক দম্পত্তি। টাকা দেওয়ার কথা বলে বাড়িতে জিম্মি করে ওই দম্পত্তিকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে মজনুর রহমান ও তার পুলিশ ছেলে মিজান। এ ঘটনায় মর্মাহত ও বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগ করেছেন শাহানুর নেছা নামে এক নারী। এ বিষয়ে মঙ্গলবার দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ করেন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার পূর্বপুরন্দপুর গ্রামের জিয়া উদ্দীন খানের ছেলে কে.এম সালাহ উদ্দীন।

তিনি উল্লেখ করেন, তার শাশুড়ি শাহানুর নেছাসহ অন্যান্যরা কালিগঞ্জ উপজেলার ত্রীলোচনপুর ইউনিয়নের দাদপুর মৌজার ২৪০ আর এস খতিয়ানভূক্ত ২১১ শতক জমি বিক্রি করেন। পঁচিশ লাখ সাতান্ন হাজার পাঁচ’শ টাকার মধ্য একই গ্রামের আফসার আলীর ছেলে মজনুর রহমান, মহর শেখের ছেলে জহির শেখ এবং যশোরের চৌগাছা উপজেলার সরূপপুর গ্রামের নূর আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক ১৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা দেন। বাকি টাকা ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকার জন্য চেক প্রদাণ করেন।

যার চেক নং ৬৯০৬১২৬, হিসাব নং-১২২৮৪ ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ কোটচাঁদপুর শাখা-ঝিনাইদহ। বিশ্বাসের কারণে শাহানুর নেছা টাকা বাকী রেখেই জমি রেজিষ্ট্রি করে দেন। এদিকে জমি রেজিষ্ট্রি হওয়ার পর চেক ফেরৎ দিয়ে বাকী টাকা নিয়ে যেতে বলেন মজনুর রহমান। সে মোতাবেক গত ৫ অক্টোবর চেক ফেরত দিয়ে টাকা নেওয়ার জন্য জমি বিক্রেতাদের বাড়িতে ডাকেন প্রতারক মজনু। দাদাপুর গ্রামে উপস্থিত হলে জমি বিক্রেতাদের হাতে নগদ সাড়ে ৩ লাখ টাকা দিয়ে চেক ফেরৎ নেন এবং সঙ্গে সঙ্গে চেকটি ছিড়ে ফেলেন।

চমর বিশ্বাস ভঙ্গের এ ঘটনায় হতবাক হয়ে পড়েন জমি বিক্রেতারা। এরপর তাদের বলা হয় চেক বইতে কোন পাতা নেই। ব্যাংক হতে চেক তুলে আমাদের পরে দিবেন। টাকা ও চেক না দিলে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে না চাইলে প্রতারক মোঃ মজনুর রহমান ও তার পুলিশ ছেলে মিজান মিলে তাদের ঘরের মধ্যে আটকিয়ে মজনুর দেওয়া সাড়ে তিন লাখ টাকাও জোরপুর্বক ছিনিয়ে নেন এবং পূর্ব পরিকল্পনা মতে অভিযোগকারীর শিশু সন্তানকে জিম্মি করে ফেলে। এরপর বিবাদীর স্ত্রী, কন্যা ও পুত্রবধু আমাদের শিশু সন্তান সাফায়েতকে খুন করার হুমকি দিয়ে বলে, বেশি চেচামেচি করলে খুন করে ফলবো।

শিশু সন্তানকে খুনের ভয়ে তারা এক সময় চুপ হয়ে যান। কিছু সময় পরে বিবাদীরা ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। এ বিষয়ে সালাহউদ্দিন ঝিনাইদহ পুলিশ সুপারের কাছে ও কালীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ করার পর থেকে মিজান ও তার লোকজন মোবাইলে বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিচ্ছেন। এতে তারা চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ভূক্তভোগী শাহানুর নেছা, ইদ্রিস আলী, মেহেনুর নেছা, সুমাইয়া ইসলাম ও তমা খাতুন প্রমূখ। এ বিষয়ে মজনুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram