আলমডাঙ্গার ভাংবাড়িয়ায় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতির মাথা ফাটিয়ে দিয়েন সাধারন সম্পাদক
আলমডাঙ্গার ভাংবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মিনারুলের মাথা ফাটিয়ে দিলেন সাধারন সম্পাদক । ২৭ ডিসেম্বর বিকালে ৩টার দিকে ভাংবাড়িয়া বাজারে আশরাফুলের চায়ের দোকানের সামনে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে এঘটনা ঘটে। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হারদী ভর্তি করে।
জানাগেছে, উপজেলার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের ভাংবাড়িয়া গ্রামের মৃত বজলুর রহমানের ছেলে মিনারুল ইসলাম ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি। দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আজিজুলের ছেলে জামাল উদ্দিনের সাথে ভাংবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়।
২৭ ডিসেম্বর দুপুরে স্কুল মাঠে ভাংবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি সকলে মিলে আলোচনায় বসে। এসময় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সভাপতি মিনারুলকে ঘুষি মেরে দেয় সাধারন সম্পাদক জামাল। তার কিছুক্ষনপর মিনারুলকে ভাংবাড়িয়া বাজারের আশরাফুলের চায়ের দোকানের সামনে একা পেয়ে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জামাল উদ্দিন ও তার ছেলে শুভ পিছন থেকে বাঁশের লাঠি দিয়ে সভাপতি মিনারুল ইসলামের মাথা মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয়।
রক্তাক্ত জখম অবস্থায় মিনারুল ইসলামকে উদ্ধার করে দ্রæত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হারদী ভর্তি করে। রাতেই মিনারুল ইসলামের চাচা শরিফ উদ্দিন বাদী হয়ে কয়েক জনকে আসামী করে আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
এ ব্যাপারে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক জানান, ভাংবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে স্কুল মাঠে আলোচনার মধ্যেই ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জামাল সভাপতি মিনারুলকে ঘুষি মেরে দেয়। তার কিছুক্ষন পর সভাপতি মিনারুল ভাংবাড়িয়া বাজারে গেলে পরিকল্পিতভাবে সাধারন সম্পাদক জামাল ও তার ছেলে শুভ বাঁশের লাঠি দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে।