আলমডাঙ্গার মাদারহুদা গ্রামের শিশু মরিয়ম হত্যার বিচারের দাবীতে মানববন্ধন
আলমডাঙ্গার মাদারহুদা গ্রামের শিশু মরিয়ম হত্যার বিচারের দাবীতে মানববন্ধন করেছে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থী- অভিভাবক ও গ্রামবাসী। ২৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় মাদারহুদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। স্কুলের শিক্ষার্থীরা মরিয়ম হত্যাকারীদের বিচারের দাবী সম্বলিত প্লাকার্ড হাতে নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নিতে দেখা যায়।
মানববন্ধনে মাদারহুদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি আবেদীন বলেন, নিস্পাপ শিশু মরিয়মকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। হত্যা মামলার প্রধান আসামীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দ্রæত সময়ে বাকীদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতেই গ্রামবাসী মানববন্ধনের আয়োজন করে।
মরিয়মের বড় ভাই আসাদুজ্জামান বলেন, আমার ছোট বোন মরিয়মকে যারা হত্যা করেছে দ্রæত বিচার আইনের আওতায় এনে আসামীদের বিচার দাবী করেন।
উল্লেখ্য: গত ৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আলমডাঙ্গার মাদারহুদায় পুকুর থেকে মরিয়ম নামের ৮ বছরের এক শিশুকন্যার লাশ উদ্ধার হয়। মরিয়ম মাদারহুদা গ্রামের খাইরুল ইসলামের কন্যা।
খাইরুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, তার মেয়ে মরিয়ম বাড়ির পাশে খেলা করছিল। সকাল ১০ টার দিকে প্রতিবেশি মনিরউদ্দিনের মেয়ে রিয়া (১৪) তার কন্যাকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর দীর্ঘ সময় মরিয়ম বাড়ি না ফিরলে আমরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি। চারিদিকে খোঁজাখুজি শুরু হয়। কোথাও না পেয়ে গ্রামের মসজিদের মাইক দিয়ে তার খোঁজ করা হয়। এরই এক পর্যায়ে গ্রামের সুরত আলীর স্ত্রী আলিম উদ্দিনের পুকুরে গোসল করার সময় তার পায়ে লাশ বাধে। সংবাদ পেয়ে গ্রামের লোকজন পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার করে। পরে তার কানে থাকা দুল না দেখতে পেয়ে আমাদের সন্দেহ হয়। আমাদের ধারনা কেউ আমার মেয়েকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করতে পারে।
ঘটনার পরদিন ১০ ডিসেম্বর শিশু কন্যার পিতা খাইরুল ইসলাম বাদী হয়ে ৪জনকে আসামী করে আলমডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার ১ নং আসামী রানাকে র্যাব গ্রেফতার করে আলমডাঙ্গা থানায় সোপর্দ করে। পরে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ সংশ্লিষ্ট মামলায় আদালতে প্রেরন করে।