মোবারকগঞ্জ চিনিকলের মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন এখন শঙ্কার মুখে!
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ-অসময়ের বৃষ্টিতে শঙ্কার মুখে পড়েছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের মোবারকগঞ্জ চিনিকলের মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন নিয়ে। ফলে নির্ধারিত দিনে উদ্বোধন হচ্ছে না। চলতি মাসের ৫ ও ৬ তারিখ ঘুর্ণিঝড় জোয়াদের প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে মাঠঘাট তলিয়ে যায়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় মোবারকগঞ্জ চিনিকল এলাকার দন্ডয়মান ও রোপনকৃত আখক্ষেত। এখনো অধিকাংশ আখক্ষেত পনির নিচে রয়েছে।
যে সব জমি থেকে পানি সরে গেছে সেসব জমির মাটিও নরম রয়েছে। ফলে আগামী ২৪ ডিসেম্বর নির্ধারিত দিনে মিলটি উদ্বোধন করতে পারবে কিনা এ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আখচাষিদের দাবি, পানি জমা জমিতে থেকে আখ কর্তন করলে পরবর্তি বছরে মুড়ি রাখা যাবে না। ফলে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবে কৃষকরা। অন্যদিকে আখ পরিবহনের জন্য রাস্তা উপযোগী না হওয়া মিলে পৌছাতে খরচ বেশি পড়ে যাবে।
মিল এলাকার গোবরডাঙ্গা গ্রামের আখচাষি আবদুস ছালাম মিন্টু জানান, চলতি মাড়াই মৌসুমে আমার ৯ বিঘা জমিতে দন্ডয়মান আখ রয়েছে। অসময়ের বৃষ্টি আমার সব আখের জমিই তলিয়ে যায়। বৃষ্টির এক সপ্তাহ পার হলে কোন ক্ষেতই আখ কাটার উপযোগী হয়নি। এখনো দুই সপ্তাহ পর দুই থেকে তিন বিঘা জমির আখ কেটে মিলে দেওয়া যাবে। ঘিঘাটি ইক্ষু ক্রয় কেন্দ্রের কৃষক হুমায়ুন কবির জানান, আমি চলতি বছর ছয় বিঘা জমিতে আখ রোপন করেছিলাম। অসময়ের বৃষ্টিতে আখের সব জমি এখন পানির নিচে। বৃষ্টির কারণে সব আখের চারা নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে জমিতে জোঁ আসলে পুনরায় আমার আখ রোপন করতে হবে।
মোবারকগঞ্জ চিনিকল আখচাষি কল্যাণ সমিতির সাধারন সম্পাদক মাসুদুর রহমান মন্টু জানান, চাষিদের জমির আখ এখনো কাটার উপযোগী হয়নি। মিল ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এবং আখচাষিরাও যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেটা বিবেচনায় রেখে মিলের মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধনের দাবি জানাচ্ছি। মোবারকগঞ্জ চিনিকলের ডিজিএম (স¤প্রসারণ) গৌতম কুমার মন্ডল জানান, আমরা মিল এলাকার চাষিদের জমি পরিদর্শন করেছি। অধিকাংশ জমি পানির নিচে রয়েছে। এই মুহুর্তে জমি থেকে আখ কাটলে মুড়ি আখের অনেক ক্ষতি হবে। আখচাষিদের দাবি, মুড়ি আখের স্বার্থে মিলটি কয়েকদিন দেরিতে মাড়াই শুরু করার জন্য অনুরোধ করেছে।