১৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে ঘূর্নিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে ৩ লাখ ৫৬ হাজার কৃষকের ৪২ হাজার হেক্টর জমির এখনো পানির নিচে!

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
ডিসেম্বর ১১, ২০২১
155
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 


জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ- কৃষকদের স্বপ্ন এখনো পানির নিচে ভাসছে। চারিদিকে কেবলই যেন হা-হুতাশ। ধানের ক্ষেত, সবজি, বীজতলাসহ সবই পানিতে তলিয়ে গেছে। রসুন, মরিচ, পেয়াজ, সরিষা, গম ও আলু রোপনের পর পনিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এসব ফসলের আর ভবিষ্যাত নেই। এ ভাবে হাজার হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্থ’ হয়েছে। আবার নতুন করে প্রস্তুত নেওয়ার সমর্থও অনেক কৃষকের নেই।

ফলে দায় দেনায় জড়িয়ে এ বছর পথে বসার উপক্রম হবে কৃষকদের। ঝিনাইদহ জেলা কৃষি স¤প্রসারন অধিদপ্তর থেকে পাওয়া প্রাথমিক তথ্য রীতিমতো উদ্বেগজনক। ঘূর্নিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে সৃষ্ট বৃষ্টিতে জেলার ৩ লাখ ৫৬ হাজার কৃষক পথে বসেছে। তাদের চলতি আবাদ মৌসুমে ৪১ হাজার ৫২৭ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। শত শত হেক্টর জমির পেয়াজ ও বোরো ধানের বীজতলা জলাবদ্ধতায় নষ্ট হয়ে গেছে। নতুন করে শুরু করার মতো আর্থিক সঙ্গতি অনেকের নেই। এসব কৃষক পরিবারের এখন মাথায় হাত।

ফসল না হলে আগামী দিন গুলোতে কি ভাবে সংসার চালাবেন এই চিন্তায় অনেকে বিপর্যস্ত। ঝিনাইদহ জেলা কৃষি স¤প্রসারন অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহ ৬ উপজেলায় সবচে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সবজি ক্ষেত। সব ধরণের সবজি মিলিয়ে জেলায় ৭ হাজার ৯০২ হেক্টর জমি আক্রান্ত হয়েছে। যে কারণে এ বছর জেলায় সবজির দাম আরো বৃদ্ধি হতে পারে। এ ছাড়া ৪২০ হেক্টর জমির বোরো বীজতলা, ৪০০৭ হেক্টর জমির গম, ৯৮৬ হেক্টর জমির আলু, ৭৮৩৮ হেক্টর জমির সরিষা, ৮৩৪২ হেক্টর জমির ভুট্টা ক্ষেত, ৬৪৫ হেক্টর জমির পেঁয়াজ, ১৭৮৫ হেক্টর জমির রসুন, ৬৭৫৫ হেক্টর জমির মসুরি, ৪৫৫ হেক্টর জমির মরিচ ও ২৩৯২ হেক্টর জমির আমন ধান ঘূর্নিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে সৃষ্ট বৃষ্টিতে ব্যাপক ভাবে আক্রান্ত হয়েছে।

এরমধ্যে ভুট্টার ক্ষেত ছাড়া বাকী ফসল গুলো বাঁচার কোন সম্ভাবনা নেই বলে কৃষিবিদরা মনে করেন। ঝিনাইদহ জেলা কৃষি স¤প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আজগর আলী বলেন, প্রাথমিক ভাবে আমরা ক্ষতির তালিকা প্রনয়ন করে ঢাকায় পাঠিয়েছি। ঘূর্নিঝড় জাওয়াদের বৃষ্টিতে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আমরা কৃষকদের নানা ভাবে সহায়তা করছি। যারা সরকারী ভাবে কৃষি উপকরণ পেয়েছিল, কৃষি কর্মকর্তাদের পাঠিয়ে তাদেরও এই মুহুর্তে কি করণীয় সে বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, ভুট্টার ক্ষেতগুলো তেমন ক্ষতি হবে না। তাবাদে প্রায় সব ফসলের ক্ষেত কমবেশি ক্ষতির মুখে পড়বে।এ বছর ঝিনাইদহ জেলায় ১ লাখ ৪ হাজার ৬১২ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছিল। ৯৮% জমির পাকা ধান কাটা শেষ হয়েছিল। কিন্তু যারা গরুর খাবার তৈরীর জন্য মাঠে ধান শুকাচ্ছিল, কেবল তারাই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সেই ক্ষতির পরিমান ২৩৯২ হেক্টর বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram