ডাউকী ইউনিয়নের বিজয়ী চেয়ারম্যান পক্ষের হামলায় গুরুতর আহত পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজমুলের সুস্থ্যতা কামনায় দোয়া মাহফিল
ডাউকী ইউনিয়নের বিজয়ী চেয়ারম্যান পক্ষের হামলায় গুরুতর আহত পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক নাজমুল হুসাইনের সুস্থ্যতা কামনায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। বাদেমাজু, ডাউকী ও বিণোদপুর গ্রামের জামে মসজিদ ও ডাউকী স্কুল মাঠে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এ সকল দোয়া মাহফিলে নাজমুল হুসাইনের দ্রæত সুস্থ্যতা কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার সন্ধ্যায় ডাউকী ইউনিয়নের পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক নাজমুল হুসাইন নিজ গ্রামের স্কুল মাঠে বসে ছিলেন। সে সময় বিজয়ী চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলামের কতিপয় কর্মী-সমর্থক তাকে লাঠি দিয়ে বেদম পেটায়। এক স্কুল ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের ঘটনায় স্কুলছাত্রির ভাই উত্ত্যক্তকারীকে কিল ঘুষি মারেন। ওই ঘটনা পরে নির্বাচোত্তর শিংসতায় রূপ নেয়। নির্মমভাবে পেটানো হয় নির্দোষ নাজমুল হুসাইনকে।
সংবাদ পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হারদী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে রাতেই কুষ্টিয়া জেনারেল হাওপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে চিকিৎসায়ও তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এখনও তার অবস্থার উন্নতি হয়নি। তাকে ৭২ থেকে ৯৬ ঘন্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে স্বজনদেরসূত্রে জানা গেছে।
এদিকে, নাজমুলের উপর হামলার প্রতিবাদে ওই রাতেই ক্ষুদ্ধ কর্মী-সমর্থকরা তরিকুল ইসলামকে দ্রæত গ্রেফতারের দাবিতে আলমডাঙ্গা শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে।
এ বিক্ষোভ মিছিলের জের হিসেবে তরিকুল ইসলাম পক্ষও একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করার উদ্দেশ্যে আলমডাঙ্গার হাউসপুর এলাকায় অবস্থান নেন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের বাঁধা দেন।
সে সময় তরিকুল ইসলাম পক্ষ পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। এতে কয়েকজন পুলিশ আহত হয়েছেন। পুলিশের দুটি ও অজ্ঞাত সাধারণ ব্যক্তির ৪টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ ৩ রাউন্ড রাবার গুলি ছোঁড়ে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ৪৫ জন নামীয়সহ দেড়শ/দুইশ ব্যক্তিকে আসামি করে এজাহার দায়ের করা হয়।