পুলিশের উপর হামলা ও মোটরসাইকেল ভাংচুরের ঘটনায় থানায় ৪৫ জন নামীয়সহ অজ্ঞাত আরও দেড়শ - দুইশ ব্যক্তির নামে মামলা

আলমডাঙ্গার ডাউকী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলামের কর্মি-সমর্থকদের পুলিশের উপর হামলা ও মোটরসাইকেল ভাংচুরের ঘটনায় থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে। ৪৫ জন নামীয় ব্যক্তিসহ অজ্ঞাত আরও ২০০ জনকে আসামি করে আলমডাঙ্গা থানার এসআই শরিয়ত ওই এজাহার দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে।
জানা যায়, পুলিশের ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও মোটরসাইকেল ভাংচুরের ঘটনায় এসআই শরিয়ত বাদী হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার থানায় এজাহার দায়ের করেছেন। ৪৫ জন নামীয়সহ অজ্ঞাত আরও দেড় শ/দুই শ ব্যক্তিকে আসামি করে ওই এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ মামলার ৩ জন আসামিকে গ্রেফতার করে সংশ্লিষ্ট মামলায় আদালতে সোপর্দ করেছে। এরা হলেন আলমডাঙ্গা গোবিন্দপুরের চিনির উদ্দীন (৫৪), রাশেদুল ইসলাম (১৯) ও বক্সীপুরের মজনু হোসেন (২০)।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার সন্ধ্যায় ডাউকী ইউনিয়নের পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক নাজমুল হুসাইন নিজ গ্রামের স্কুল মাঠে বসে ছিলেন। সে সময় বিজয়ী চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলামের কতিপয় কর্মী-সমর্থক তাকে লাঠি দিয়ে বেদম পেটায়। এক স্কুল ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের ঘটনায় স্কুলছাত্রির ভাই উত্ত্যক্তকারীকে কিল ঘুষি মারেন।
ওই ঘটনা পরে নির্বাচোত্তর সহিংসতায় রূপ নেয়। নির্মমভাবে পেটানো হয় নির্দোষ নাজমুল হুসাইনকে। সংবাদ পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হারদী ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে রাতেই কুষ্টিয়া জেনারেল হাওপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে চিকিৎসায়ও তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এখনও তার অবস্থার উন্নতি হয়নি। তাকে ৭২ থেকে ৯৬ ঘন্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে স্বজনদেরসূত্রে জানা গেছে।
এদিকে, নাজমুলের উপর হামলার প্রতিবাদে ওই রাতেই ক্ষুদ্ধ কর্মী-সমর্থকরা তরিকুল ইসলামকে দ্রæত গ্রেফতারের দাবিতে আলমডাঙ্গা শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে।
এ বিক্ষোভ মিছিলের জের হিসেবে তরিকুল ইসলাম পক্ষও একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করার উদ্দেশ্যে আলমডাঙ্গার হাউসপুর এলাকায় অবস্থান নেন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের বাঁধা দেন। সে সময় তরিকুল ইসলাম পক্ষ পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। এতে কয়েকজন পুলিশ আহত হয়েছেন। পুলিশের দুটি ও অজ্ঞাত সাধারণ ব্যক্তির ৪টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ ৩ রাউন্ড রাবার গুলি ছোঁড়ে।