কালীগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে ১৩৩ ভোট, মেম্বার পদে ২ ভোট , তৃতীয়বারের মতো মেম্বার পদে করছেন প্রতিদ্বন্দিতা

জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ- কে এম জালাল উদ্দীন। কবিরাজ জালাল বলেই পরিচিত। ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলার সুন্দরপুর দূর্গাপুর ইউনিয়নের কাদিরকোল গ্রামের মৃত আরশেদ আলীর ছেলে। ২০১১ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে ভোট পেয়েছিলেন ১৩৩।
২০১৬ সালে একই ইউনিয়নের নিজ গ্রামের ১নং ওয়ার্ড থেকে মেম্বার পদে নির্বাচন করে ভোট পান মাত্র দুইটি। তৃতীয়বারের মতো এবারও একই ওয়ার্ড থেকে মেম্বার পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপে তার এ ইউনিয়নে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। তবে এবার তিনি আশা করছেন এলাকার মানুষের ভোটে তিনি নির্বাচিত হবেন। নির্বাচনে তার ওয়ার্ডে আরো তিনজন প্রার্থী রয়েছেন। তারা হলেন হুমায়ুন কবির, জাহাঙ্গীর আলম ও মির্জা আব্বাছ। এই ৪ প্রার্থী মেম্বর পদে নির্বাচন করছেন। পূর্বে দুই নির্বাচনে এলাকার কোন ব্যক্তি জালালের সমর্থন ও প্রস্তাবকারী ছিলেন না। পরে উপজেলার দুই কর্মকর্তা সেখানে তাদের নাম লিখে সহযোগীতা করেন।
তবে এবার ভোটে তার নির্বাচনী ফর্মে স্থানীয় দুইজন প্রস্তাব ও সমর্থন করেছেন। নির্বাচনে প্রচার কাজ তিনি নিজেই করে থাকেন। যদিও এবার কোন মাইকিং করেননি। তবে, পূর্বের দুই নির্বাচনে নিজেই ভ্যান চালিয়ে মাইক বেধে নিজের প্রচার কাজ করেছেন। এবার মাইকিং না করলেও বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের হাতে তার লাটিম প্রতিকের পোষ্টার দিয়ে ভোট প্রার্থনা করেছেন। এদিকে মেম্বার প্রার্থী কেএম জালাল উদ্দীন হলফনামায় ১৯৮৭ সালে এসএসসি পাশ করেন বলে উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া তার স্ত্রী, চার ছেলে ও পাঁচ মেয়ে রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন।
নির্বাচন নিয়ে তিনি জানান, এবার দিয়ে তিনি তৃতীয়বারের মত নির্বাচন করছেন। নির্বাচনে ভালো সৎ ও যোগ্য প্রার্থী না থাকায় তিনি নির্বাচন করেন। তবে ভোটাররা বোঝে না বলেই তারা অযোগ্য মানুকে ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচিত করেন। তবে একদিন মানুষের মধ্যে সঠিক বুঝ আসবে বলে বিশ^াস তার।