মুক্তিযোদ্ধা গোলাম কুদ্দুস এখন ভিক্ষুক!
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ- বর্তমানে ঝিনাইদহে সরকারী আবাসনে বসবাসরত মুক্তিযোদ্ধা গোলাম কুদ্দুসের এখন সংসার চলে রাস্তায় রাস্তায় ভিক্ষা করে। মুক্তিযোদ্ধা গোলাম কুদ্দুস মুত্যু আব্দুস সামাদ খাঁনের প্রথম সন্তান। ঝিনাইদহ শহরের মুজিব চত্তর এলাকায় দেখা হল সেই মুক্তিযোদ্ধা গোলাম কুদ্দুসের সাথে কথা হল অনেক। কথা বললেন কেঁদে কেঁদে।
তিনি বললেন তিনি মাগুরা শ্রিপুরের ৮নং সেক্টরের দায়িত্বে ছিলেন। বিকাশে ১০ হাজার টাকা ও নগদ পনের হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে তার সমস্ত কাগজাদি ঢাকার মুক্তিযোদ্ধা হেড অফিসে (খুলনা বিভাগ এরিয়া) আটকে রেখেছেন চাঁন মিয়া নামক এক কর্মকর্তা মর্মে অভিযোগ করেন গোলাম কুদ্দুস। সেকারনে তার মুক্তিযোদ্ধা সনদও মেলেনি আজো অব্দি। ঝিনাইদহের শৈলকুপায় যুদ্ধ করে রাজাকার ও মিলিটারিদের কাছ থেকে উদ্ধার করেছিলেন ৫৭টি অস্ত্র। সেই মহান মুক্তিযোদ্ধা হয়েও আজ তিনি ভিক্ষুক। গোলাম কুদ্দুস ১২টি সন্তানের পিতা। ৬টি সন্তানের মুত্যু হয়েছে। এখনো বেঁচে আছে ৬টি সন্তান।
মুক্তিযোদ্ধাকালীন গোলাম কুদ্দুসের বাড়ি ছিল মাগুরার শ্রিপুর থানার সোন গাছা গ্রামে। নিকটাত্মীয়রা তার বাড়ি সম্পত্তি দখলের পর গোলাম কুদ্দুস জীবন বাঁচাতে আশ্রয় নেন বেনাপোল বর্ডারের শার্শা থানার কাগজ পুকুর গ্রামে। পরে যশোর ঝিকোড় গাছা গাজির দরগার পাশে বসবাসের পর চলে আসেন মাগুরা গোপিনাথপুর গ্রামে। সর্বশেষ তিনি ঝিনাইদহ সদরের চাপড়ি মদুপুরের এলাকার সরকারী আবাসনে প্রতিবন্ধি স্ত্রীর সাথে বসবাস করেন। মুক্তিযোদ্ধাকালীন গোলাম কুদ্দুসের বয়স ছিল ২৭ বছর। এখন তার বয়স প্রায় ৮০ বছর। তিনি এখন বেশ অসুস্থ্য।
প্রতিদিন তার ৬০ টাকার ঔষধ কিনতে হয়। সেসময় গোলাম কুদ্দুসের ভাতিজা গফুর সাহেব ছিলেন রাষ্ট্রপতি এরশাদ সাহেবের প্রধান বডিগার্ড বলে জানান এই মুক্তিযোদ্ধা গোলাম কুদ্দুস। তিনি সাংবাদিকদের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষের কাছে তার মুক্তিযোদ্ধার সনদ ও ঢাকায় হেড অফিসে আটকে রাখা মুক্তিযুদ্ধের কাগজাদি ফেরতের দাবী করেন। মুক্তিযোদ্ধা গোলাম কুদ্দুসের মুঠোফোন নম্বর- ০১৯৬১-৬১৫১৩২।