২৩শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্বামী স্ত্রীর পাল্টাপাল্টি পরকীয়ায় দুই শিশু সন্তানের পুড়লো কপাল!

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
নভেম্বর ৫, ২০২১
166
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 


স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ- সড়ক ও জনপথ বিভাগের মাগুরা বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আহসানুল হক টিটুর বিরুদ্ধে স্ত্রী নির্যাতন ও যৌতুক দাবীর মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহের শৈলকুপা থানায় মামলাটি করেন তার স্ত্রী শাহনাজ পারভিন সানু। আহসানুল হক টিটু শৈলকুপা কোর্টপাড়ার গোলাম কবীর মজনুর ছেলে। শৈলকুপা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, মামলাটি নারী ও শিশু নিার্যাতন ১১(গ) ধারা মতে রেকর্ড করা হয়েছে। যার নং ০৬।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৮ সাল থেকে তার স্বামী আহসানুল হক টিটু শৈলকুপার ভাটই কুলচারা এলাকার আনোয়ার হোসেনের মেয়ে শেফালী খাতুনের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলে। এই সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর থেকে ১০ লাখ টাকার যৌতুকের দাবীতে তার উপর নির্যাতন করে আসছে। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তিনি তার ভাইদের কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা এনে দেন। কিছুদিন ভালো থাকার পর আবারো বাকী ৪ লাখ টাকার জন্য অত্যাচার করতে থাকে। শাহনাজ পারভিন সানু তার অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, নির্যাতনের পরও তিনি তার দুটি শিশু সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে স্বামী উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আহসানুল হক টিটুর ঘর করতে থাকেন।

গত ৩০ অক্টোবর যৌতুকের বাকী টাকা না দেওয়ায় তাকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠায় স্বামী টিটু। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, শাহনাজ পারিভন সানুর ভাই মনিরুল ইসলাম বিদেশে থাকান সুযোগে তার স্ত্রী শেফালী খাতুনের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে প্রকৌশলী টিটুর। এ নিয়ে ওই পরিবারের ব্যাপক অশান্তির সৃষ্টি হলে বহুবার শালিস বৈঠক হয়েছে। কিন্তু কোন সুরাহ হয়নি। শ্যালকের স্ত্রী শেফালীর সঙ্গে প্রকৌশলী টিটুর বহু অন্তরঙ্গ ছবি ও ভিডিও রয়েছে। এক পর্যায়ে শ্যালক মনিরুল তার স্ত্রী যেমন শেফালীকে তালাক দেয় তেমনি উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আহসানুল হক টিটুও তার স্ত্রী শাহনাজ পারভিন সানুকে তালাক দেয়।

স্ত্রী নির্যাতনের মামলার বিষয়ে মাগুরা সড়ক বিভাগে কর্মরত উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আহসানুল হক টিটু জানান, তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা মিথ্যা প্রমানিত হবে। কারণ তিনি তার স্ত্রীকে ২৬ অক্টেবর তালাক দিয়েছেন। ফলে ৩০ অক্টোবর তাকে নির্যাতন করা মিথ্য ও অসত্য। টিটু দাবী করেন, তার স্ত্রী তাকেই মারধর করতেন। তিনি শিশু সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে কিছুই বলেন নি। ৯ বছর ধরে তিনি স্ত্রীর নির্যাতন সহ্য করে গেছেন। তার মুখের ভাষা খুবই খারাপ। তার বৃদ্ধা মাতাকে যে ভাবে গালিগলাজ করতো তা তার ভাইয়েরাও অবগত।

প্রকৌশলী আহসানুল হক টিটুর ভাষ্যমতে তার স্ত্রীর সঙ্গে ফিরোজ পুলিশ ও গুঞ্জনসহ একাধিক যুবকের অবৈধ সম্পর্ক ছিল। তার স্ত্রীর কোথায় কোথায় তিল বা চিহ্ন আছে তাও মোবাইল করে ওই সব যুবকরা তাকে বলে দিত। ফলে স্ত্রীর সঙ্গে আর সংসার করা তার পক্ষে সম্ভব না হওয়ায় তিনি তালাক দিয়েছেন। তবে শ্যালকের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া, অন্তরঙ্গ ভিডিও ও ছবির বিষয়ে প্রকৌশলী আহসানুল হক টিটু কোন মন্তব্য না করে এড়িয়ে যান।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram