শীতের শুরুতে ঝিনাইদহে খেঁজুর গাছ তোলার ধুম

জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ- ঝিনাইদহের ৬টি উপজেলার সর্বত্র-ই মধু বৃক্ষ খেঁজুর গাছ তোলার ধুম পড়েছে। আর মাত্র কয়েক দিন পরই গ্রাম বাংলার গৌরব আর ঐতিহ্যের প্রতীক মধু বৃক্ষকে ঘিরে গ্রামীন জনপদে শুরু হবে এক উৎসব মুখর পরিবেশ।
মধু বৃক্ষ থেকে গাছিরা সংগ্রহ করবে সুমিষ্টি খেজুরের রস। তৈরি হবে লোভনীয় গুড় ও পাটালী। রস জ¦ালীয়ে ভিজানো পিঠা ও পায়েস খাওয়ার ধুম পড়বে প্রতিটি গ্রামীন জনপদে। সৃষ্টি হবে গ্রাম বাংলার এক নতুন আমেজের। এক সময় ঝিনাইদহে খেজুরের রস, গুড় ও পাটালী উৎপাদনে প্রসিদ্ধ ছিল। দেশের বাইরে ও এর বেশ কদর রয়েছে। অতীতে এখানকার খেজুর রসের যে যশ ছিল বর্তমানে সে যশ হারিয়ে যাচ্ছে।
গ্রাম বাংলার সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক এ খাতে সরকারী কোন পৃষ্টপোষকতা না থাকায় বর্তমানে আগের মত রস গুড় উৎপাদন হয় না। ইতোমধ্যে শহরের লোকজন গ্রামের গাছ কাটা গাছিদের সাথে যোগাযোগ শুরু করেছে। আবার গাছিদের আগাম টাকা দিচ্ছেন ভাল গুড় ও পাটালী পাবার আশায়। আগাম টাকা পেয়ে অনেক গাছি রস সংগ্রহের উপকরন তৈরি করছেন।
কালীগঞ্জ উপজেলার চাঁচড়া গ্রামের গাছি ইউনুছ আলী জানান, এ বছর গাছিরা আগে ভাগেই খেজুর গাছ তোলা শুরু করেছে। এ উপজেলায় এখন পর্যন্ত শীত জেঁকে না বসলেও গাছিরা খেজুর গাছ তোলা, চাঁচ দেওয়া, দা তৈরি, দড়ি ও মাটির কলস (ভাড়) কেনা, রস জ¦ালানোর স্থান তৈরি করা সহ যাবতীয় কাজ পুরোদমে চালিয়ে যাচ্ছে। আসন্ন শীত মৌসুমকে ঘিরে গ্রাম বাংলার চিত্র পাল্টে গেছে। ঝিনাইদহের ৬টি উপজেলার এমন কোন গ্রাম নেই যেখানে কমবেশি খেঁজুর গাছ নেই। এসব গ্রামের গাছিরা খেঁজুরের রস সংগ্রহের জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছে।