ঝিনাইদহের স্কাউট ভবনের কার্যক্রমে অব্যবস্থাপনা; মাঠে ছাগল গরুর ঘাস জন্মেছে মাঠে!
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ- ঝিনাইদহের স্কাউট ভবন, কমিটি ও কার্যক্রম চলছে অব্যবস্থাপনার মাধ্যমে। ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা মহসড়কের পাশে উপশহরপাড়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ স্কাউট ঝিনাইদহ জেলা শাখার কার্যালয়। সেখানে এখন গরু-ছাগল চরে। বড় বড় ঘাঁস কেটে খাওয়াচ্ছে আশ-পাশের মানুষ। জানাগেছে, বাংলাদেশ স্কাউট ভবনের পাশে নির্মিত হচ্ছে মডেল মসজিদ। মসজিদ নির্মাণ কাজের জন্য রাস্তার সাথে ড্রেনটি বন্ধ রয়েছে। যার কারণে বর্ষার মৌসুম জুড়ে স্কাউট ভবনের পুর আঙিনা ছিল পানিমগ্ন ও আবর্জনার ভাগাড়।
এখন পানি শুকিয়ে গেলেও মাঠে গজিয়েছে ঘাঁস। সেই ঘাঁস গরু-ছাগলের জন্য কেটে নিয়ে যাচ্ছে আশপাশের মানুষ। তথ্য নিয়ে জানাগেছে, জেলা প্রশাসক পদাধিকার বলে সভাপতি ও ১ জন কমিশনার, ১ সেক্রেটারী, সহকারী কমিশনার ৭ জন (১ জন মহিলা) সহ সভাপতি ৫, যুগ্ম সম্পাদক ১ জন এবং নির্বাহী সদস্যদের নিয়ে ঝিনাইদহ জেলা স্কাউট পরিচালিত হচ্ছে। কাব স্কাউট, স্কাউট ও রোভার স্কাউট নামে ৩টি প্রধান বিভাগে রয়েছে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কাব স্কাউট, মাধ্যমিক শাখার শিক্ষার্থীরা স্কাউট এবং কলেজ শাখার শিক্ষার্থীরা রোভার স্কাউট হিসাবে কাজ করে। জেলার প্রত্যেক উপজেলায় পদাধিকার বলে ইউএনও সভাপতি ও শিক্ষকদের মধ্য থেকে কমিশনার,সেক্রেটারী নিয়ে কমিটি পরিচালিত হয়ে আসছে। ঝিনাইদহ স্কাউট ভবনের দ্বিতীয় তলায় টিসার্চ টেনিং ইনস্টিটিউ ভাড়া নিয়ে কার্যক্রম চালাত। কিন্তু তারাও এখন এখানে আর থাকে না। ভবনে সকল বিভাগের অফিস থাকলেও বর্তমানে রোভার স্কাউটের জন্য কোন অফিস নেই। বরাদ্দ থাকলেও তা দখলে অন্য বিভাগের। রোভার স্কাউটের সেক্রেটারী ফিরোজ আলম হাসান জানান, স্কাউট ভবনে রোভার স্কাউটের কোন অফিস নেই। অন্য বিভাগের থাকলেও তাদের কোন অফিস রুম দেওয়া হয়নি। করোনাকালীন টিকা দান, লকডাউন বাস্তবায়ন, সচেতনতা তৈরিসহ বিভিন্ন সেবা মূলক কাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকেন স্কাউট সদস্যরা।
কিন্তু অব্যবস্থাপনা ও সঠিক কর্মপরিকল্পনার অভাবে অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের থেকে অনেকটা ছিটকে পড়েছে ঝিনাইদহ স্কাউট। ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কমিটি দীর্ঘ ১২ বছর এডহক কমিটি দিয়ে চলছে। রোভার স্কাউটের এক সদস্য জানান, বিভিন্ন কর্মকান্ড আসলে শুধু মাত্র অগ্রণী মুক্তদল দিয়ে কাজ করানো হয়। অন্য সবাইকে কাজে লাগানো হয় না। পদাধিকার ক্রমানুযায়ী সভাপতির পরেই কমিশনার তার পরে সেক্রেটারী। মোঃ আবু বকর সিদ্দিক এর আগের মেয়াদে কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এবার তিনি আবার সেক্রেটারী হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছেন। ঝিনাইদহ স্কাউটের সেক্রেটারী মোঃ আবু বকর সিদ্দিক জানান, মডেল মসজিদের নির্মাণ কাজের জন্য পানি বের না হওয়ায় ড্রেন বন্ধ হয়ে যায়। যার কারণে বর্ষার সময় মাঠে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছিল। ডিসি স্যারসহ আমরা উদ্যোগ নিয়ে ড্রেন পরিষ্কার করেছিলাম। তারপরে আবার পাশের ধান চাষিদের আপত্তির কারণে আবার মাঠে পানি ঢুকতে দিতে হয়। তা না হলে ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল।
সদর উপজেলার কমিটি ২০১৬ সালের পর থেকে আর হয়নি। সব কিছু গোছানো থাকলেও করোনার কারণে নতুন কমিটি গঠন করা সম্ভব হয়নি। এখন পরিবেশ ভালো যেকোন সময় কমিটি গঠিত হতে পারে। স্কাউট সদস্যরা কাজের গতি ও সাংগঠনিক তৎপরতা বাড়াতে সংশ্লীষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।