ছাত্রকে মারার অপরাধে ঝিনাইদহে শিক্ষককে পিটিয়ে হাসপাতালে ভর্তি!
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ- ছাত্রকে একটি চড় মারার অপরাধে ঝিনাইদহের ঘোড়শাল ইউনিয়নের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষকে পিটিয়ে জখম করেছে ঐ ছাত্রের অভিভাবক পক্ষের লোকজন। গুরুত্বর জখম হয়ে সেই সহকারি প্রধান শিক্ষক হাসপাতালে ভর্তি হয়ে কাতরাচ্ছেন। এঘটনায় এলাকাজুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে।
জানা গেছে, ১৭ই অক্টোবর সন্ধ্যায় ঝিনাইদহের ঘোড়শাল ইউনিয়নের মুনুড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক মনোরঞ্জন বিশ্বাস স্থানীয় মুনুড়িয়া বাজারে ঔষধ খরিদ করতে একটি ফার্মেসির সামনে অপেক্ষা করতে থাকেন। এসময় মুনুড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একসময়ের ছাত্র ও বর্তমান লেদ মিস্ত্রী জিহাদ (১৩) তার বাইসাইকেল সহকারি প্রধান শিক্ষক মনোরঞ্জন বিশ্বাসের উপর উঠিয়ে দেই।
সেসময় মনোরঞ্জন বিশ্বাসের বাম হাতের কনুইতে প্রচন্ড আঘাত লাগে। মনোরঞ্জন বিশ্বাস সাবেক ছাত্র জিহাদের গালে একটি চড় মেরে বলেন দেখে চালাতে পারোনা? এরপর জিহাদ বাড়িতে ফিরে তার পিতা হারুন বিশ্বাস ও তার চাচা হান্নানকে ঘটনার কথা জানালে তারা প্রতিবেশি মুর্শিদ, সবদুল ও অজ্ঞাত কয়েকজনকে নিয়ে মনোরঞ্জন বিশ্বাসকে বেধড়ক ভাবে লাথি, ঘুষি ও চড় মারতে থাকে। এসময় মনোরঞ্জন বিশ্বাসের কান দিয়ে রক্ত ঝরতে থাকে। স্থানীয়রা খবর পেয়ে মনোরঞ্জন বিশ্বাসকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এবিষয়ে ঘোড়শাল ইউনিয়নের মেম্বর সাধন বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, ঘোড়শাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লিল্টন ও এলাকর ম্বেম্বর রয়েছে, রয়েছে থানা পুলিশ। তাদের কাছে বিচার না দিয়ে নিজের হাতে আইন তুলে নিয়ে মুনুড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক মনোরঞ্জন বিশ্বাসকে এভাবে পিটানো চরম অন্যায় ও অপরাধ। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শেখ সোহেল জানান আমি খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলাম। অভিযোগ পেলেই আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। এবিষয়ে এলাকাবাসি জিহাদের পিতা হারুন বিশ্বাস ও তার চাচা হান্নান এবং প্রতিবেশি মুর্শিদ ও সবদুলসহ ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।