আলমডাঙ্গার খেজুরতলা গ্রামে বিয়ের দাবী নিয়ে প্রেমিক লিুপর বাড়িতে ঢাকার রাজিয়া সুলতানা
আলমডাঙ্গার খেজুরতলা গ্রামে বিয়ের দাবী নিয়ে প্রেমিক লিুপর বাড়িতে উঠে ঢাকার রাজিয়া সুলতানা। এসময় লিপুর পিতা বোরহান মেম্বরের বিরুদ্ধে রাজিয়াকে মারধরের অভিযোগ উঠে। সংবাদ পেয়ে ঘোলদাড়ি ক্যাম্প পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পরে রাজিয়া আলমডাঙ্গা থানায় আসে।
জানাগেছে, আলমডাঙ্গা খেজুরতলা গ্রামের বোরহান মেম্বরের ছেলে নাসির আহমেদ লিপু ঢাকাতে চাকুরীর সুবাদে বগুড়া জেলার নামুজা বগারপাড়া গ্রামের আমির উদ্দিনের মেয়ে রাজিয়া সুলতানার সাথে পরিচয় হয়। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমের ৬ বছর পর লিপু জানতে পারে, রাজিয়ার এর আগে বিয়ে হয়েছিল। তার একটি ৯ বছরের সন্তান রয়েছে। এরপরই লিপু তার মোবাইল নাম্বার, চাকুরী ও বাসা বদল করে ঢাকার অন্যত্র চলে যায়। বিপাকে পড়ে যায় রাজিয়া। সে হন্যে হয়ে খুজতে থাকে লিপুকে। না পেয়ে ঢাকার শেরে বাংলা নগর থানায় লিপুর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করে। মামলায় লিপু গ্রেফতার হয়ে ২ মাস হাজতও খাটে। এরপর সে জামিনে মুক্ত হয়ে বাড়ি আসে। লিপু অন্যত্র বিয়ে করছে জানতে পেরে রাজিয়া গতকাল ঢাকা থেকে খেজুরতলা গ্রামে লিপুর বাড়িতে এসে উঠে। রাজিয়াকে দেখেই বোরহান মেম্বর তেলে বেগুনে জ¦লে উঠে। সে রাজিয়াকে মারধর করে রাস্তায় ফেলে রাখে। এ সংবাদ গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক জনতা ভীড় জমায় বোরহান মেম্বরের বাড়ির সামনে। সংবাদ দেওয়া হয় ঘোলদাড়ি ক্যাম্প পুলিশকে।
লিপুর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা আদালতে বিচারাধীন থাকায় রাজিয়ার চলে আসা গ্রামের মন্ডল মাতব্বররা কেউ ভালভাবে নেয়নি। এরপরই রাজিয়া আলমডাঙ্গা থানায় চলে আসে।
এবিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম জানান, রাজিয়া নামের একটি মেয়ে থানায় এসেছিল। তাকে মারধরের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।