আত্মীয়ের লাশ কবর দিয়ে এসে নিজেই লাশ হলেন মাদারহুদার ইয়ামিন: স্ত্রী আহত
আত্মীয়ের লাশ কবর দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে নিজেই লাশ হলেন আলমডাঙ্গার মাদারহুদা গ্রামের ইয়ামিন। গুরুতর আহত হলেন তার স্ত্রী বুলবুলি খাতুন। ২৮ সেপ্টেম্বর বেলা ১১ টার দিকে শ্রীরামপুর থেকে মটরবাইকে স্ব-স্ত্রীক বাড়ি ফেরার পথে দ্রæতগামী বাস তাদের ধাক্কা দিলে দুজনই রত্তাক্ত জখম হন। পথচারীরা তাদেরকে উদ্ধার করে আলমডাঙ্গার ফাতেমা টাওয়ার হাসপাতালে আনার পর ইয়ামিনকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। রত্তাক্ত জখম বুলবুলিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।
জানাগেছে, উপজেলার মাদারহুদা গ্রামের সেকের আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম ইয়ামিন(৫৫) তার স্ত্রী বুলবুলি খাতুনকে নিয়ে শ্রীরামপুর গ্রামের তার আত্মীয় এলেম মুন্সির স্ত্রীর দাফনে যোগ দিতে যান। দাফন শেষে তিনি স্ব-স্ত্রীক মটর বাইক নিয়ে বাড়ির পতে রওনা দেন। তারা আলমডাঙ্গা কুষ্টিয়া সড়কের শ্রীরামপুর গ্রামের জেএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিকবর্তী ব্যাকে পৌছলে সামনে থেকে আসা দ্রæতগামী একটি বাস তাদেরকে ধাক্কা দেয়। এসময় ইয়ামিন তার স্ত্রীকে নিয়ে সড়কের উপর ছিটকে পড়ে। এতে তারা দুজনই রত্তাক্ত জখম হন। তাদেরকে ছিটকে পড়ে যেতে দেখে বাস(টাঙ্গাইল-ব-১১-০০১৭) টি আরও দ্রæতগতিতে কুষ্টিয়ার দিকে পালিয়ে যায়। পথচারীরা তাদের দুজনকে উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা শহরের ফাতেমা টাওয়ারে নিয়ে আসে। ফাতেমা টাওয়ারের কর্তব্যরত চিকিৎসক ইয়ামিনকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। বুলবুলি খাতুনের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে দ্রæত কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
এদিকে, ইয়ামিনের লাশ মাদারহুদা গ্রামে নিয়ে গেলে হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারনা হয়। আকশ্মিক মৃত্যুতে হতবিহব্বল হয়ে পড়ে পরিবারের সদস্যরা। লাশ দেখতে ছুটে আসেন বেদনার্ত গ্রামবাসী। বিকালে নিজ গ্রামে লাশ দাফন করা হয়।
নিহত ইয়ামিন গরু ব্যবসায়ী ছিলেন। ইয়ামিনের দুই স্ত্রী। আহত বুলবুলি খাতুন ছোট স্ত্রী। দুই সংসারে ইয়ামিনের ৪ মেয়ে ও ৩ ছেলে রয়েছে।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম জানান, মৃতের পরিবার মামলা করতে রাজি না হওয়ায় লাশের ময়না তদন্ত করা হয়নি। আমরা অভিযুক্ত বাস ও এর মালিকের সাথে যোগযোগ করার চেষ্টা করছি।