ঝিনাইদহে মাদ্রাসা শিক্ষক কর্তৃক শিশু বলাৎকারের ঘটনায় সেই শিক্ষক চাকরিচ্যুত!
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ- ঝিনাইদহের শহরের পাগলাকানায় মোড়ের দারুল আ’মাল মাদ্রাসায় বলাৎকারের শিকার হয়েছে এক শিক্ষার্থী (১০)। এমন অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থীর বাবা। এই অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার রাতে শালিস করে শিক্ষক ইসরাফিল হোসেনকে মাদ্রাসা চাকরিচ্যুত করেছে কর্তৃপক্ষ। ইসরাফিল হোসেন যশোরের মণিরামপুর উপজেলার ভরতপুর গ্রামের আব্দুল কাদের শেখের ছেলে। ঝিনাইদহ শহরের পাগলাকানাই মোড়ের সায়াদাতিয়া জামে মসজিদের সম্মুখে মাদ্রাসাটি দীর্ঘদিন পরিচালিত হয়ে আসছে।
বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী এই মাদ্রাসায় আবাসিক-অনাবাসিকভাবে লেখাপড়া করছে। নিপিড়নের শিকার শিক্ষার্থীর বাড়ি ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুরে। শিক্ষার্থীর বাবা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, গত ৩০ আগস্ট মাদ্রাসা ছুটি ঘোষণা করা হয়। এই ছুটিতে ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুরে বাড়িতে যেয়ে আবার মাদ্রাসা চালু হলে আসতে চাচ্ছিল না।
৩ বছর যাবৎ এই শিক্ষার্থী দারুল আ’মাল মাদ্রাসায় পড়াশোনা করছে। কিন্তু এখন হঠাৎ করে না আসতে চাইলে কারণ জানতে চায় শিশুটির বাবা-মা। শিশুটি তার বাবা-মাকে জানায়, ইসরাফিল হোসেন প্রায়ই তাকে জড়িয়ে আদর করে। চুমা দেয়। মাদ্রাসাটি সিসি ক্যামেরায় ঘেরা। বাথরুমে ক্যামেরা নেই। সুযোগ বুঝে বাথরুমে নিয়ে গিয়ে তাকে বলাৎকার করে ঐ শিক্ষক। এই ভয়ে সে মাদ্রাসায় আসতে চায় না।
শনিবার সন্ধ্যায় শিশুটির বাবা মাদ্রাসা সংলগ্ন পাগলাকানাই মোড়ের দোকানদারদের কাছে কাঁদতে কাঁদতে এই কথা জানিয়ে বিচার দাবি করেন সাংবাদিকদের কাছে। দারুল আ’মাল মাদ্রাসা অধ্যক্ষ মোহাম্মদ উল্লাহ জানান, ইসরাফিল হোসেন ১ মাসের মত যোগদান করেছে। বাড়িতে তার বউ আছে। সে যৌন নিপিড়ন করেছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। আমরা তাকে চাকরিচ্যুত করছি। তাকে আর রাখবো না।
মাদ্রাসায় ইসরাফিল হোসেনের খোঁজ করতে গেলে জানাগেছে তিনি পালিয়েছেন। মাদ্রাসার অন্য অবিভাবকদের দাবি এই শিক্ষক অন্য ছাত্রদেরও যৌন নিপিড়ন করে থাকতে পারে। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা বলেন, কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি। এখনই খোঁজ নিচ্ছি। সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।