আলমডাঙ্গায় প্রেমিকার বাবার দায়ের করা অপহরণ মামলায় প্রেমিক সাব্বির গ্রেফতার
প্রেমিকার বাবার দায়ের করা অপহরণ মামলায় মূল আসামী সাব্বির গ্রেফতারসহ কিশোরী প্রেমিকাকে উদ্ধার করেছে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ। প্রেমিকাকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ৩ মাসপর প্রেমিক সাব্বিরকে ঢাকা রামপুরা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে নিয়ে আসে।
জানাগেছে, উপজেলার পাঁচকমলাপুর গ্রামের সারজেত আলীর ছেলে সাব্বির হোসেন (২২) পাশর্^বর্তী শিয়ালমারী গ্রামের জহুরুল ইসলামের ৯ম শ্রেনীতে পড়–য়া মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। দীর্ঘদিন প্রেম করার পর তারা গত জুন মাসে বাড়ি থেকে দুজনে ঘর বাধার স্বপ্ন নিয়ে অজানার উদ্দ্যেশে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার কয়েকদিন পর স্কুল পড়–য়া কিশোরীর পরিবার বিভিন্ন জায়গায় তাদেরকে খোজাখুজি করতে থাকে। তাদের সন্ধান না পেয়ে আলমডাঙ্গা থানায় কিশোরীর বাবা বাদি হয়ে সাব্বিরসহ বেশ কয়েকজনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে।
আলমডাঙ্গা থানায় মামলা হওয়ার পর থেকে আলমডাঙ্গা থানা সাব্বির ও তার পরিবারের মোবাইল নাম্বার ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের মাধ্যমে লোকেশন ট্রাক করার চেষ্টা করে। কিন্তু ধুরন্ধর সাব্বির তার নিজের নামে ক্রয় করা সকল মোবাইল নাম্বার বন্ধ করে দেয়। গোপনে অণ্যের নামে ক্রয়কৃত মোবাইল নাম্বার দিয়ে পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে থাকে। মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই মিজানুর রহমান আলমডাঙ্গা থানার আইটি অভিজ্ঞ এসআই সুলতান মাহমুদের সহযোগীতা নিয়ে দীর্ঘ ৩ মাসধরে কিশোরীকে উদ্ধার ও সাব্বিরকে আটকের জন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায়।
সাব্বিরের সন্ধান না পাওয়ায় এসআই মিজান কৌশল অবলম্বন করে মামলার অন্য দুজন আসামী সাব্বিরের ভাই ও দুলা ভাইকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর তাদের মাধ্যমে জানতে পারে সাব্বির তার প্রেমিকা কিশোরীকে নিয়ে ঢাকায় পালিয়ে আছে। গত ১০ সেপ্টেম্বর এসআই মিজানুর রহমান ও এএসআই হামিদুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঢাকা রামপুরায় অভিযান চালিয়ে ১১ সেপ্টেম্বর অপহরণ মামলার আসামী সাব্বিরকে গ্রেফতারসহ কিশোরীকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। ১২ সেপ্টেম্বর তাদেরকে সংশ্লিষ্ট মামলায় আদালতে প্রেরন করা হবে।
এদিকে এলাকাবাসি জানায়, সাব্বির এবং ওই কিশোরীর মধ্যে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাদের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে বেশ কয়েকবার দুই পরিবারের মাঝে বসাবসিও হয়েছে।