আলমডাঙ্গায় সহযোগীসহ পুলিশের এক ভূয়া ডিআইজি আটক
আলমডাঙ্গায় থানা পুলিশ ইলেট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার করে সহযোগীসহ এক ভূয়া ডিআইজিকে আটক করেছে । নিজেকে ডিআইজি পরিচয়ে পুলিশের চাকুরী দেওয়ার নাম করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ৬ সেপ্টেম্বর সোমবার রাতে তাদেরকে আটক করা হয়। তাদের নামে আলমডাঙ্গা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করে ভুক্তভুগি পরিবার।
জানাগছে, উপজেলার প্রাগপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে মহিদুল ইসলামকে ওসমানপুর গ্রামের হঠাতপাড়ার হাসেম আলীর ছেলে উজ্জল(৩০) নিজেকে ডিআইজ পরিচয় দিয়ে অজ্ঞাত নাম্বার থেকে ফোন করেন। উজ্জল পুলিশের চাকুরি প্রত্যাশি মহিদুল ইসলামের ভাতিজা নাফিজকে চাকুরী দেওয়ার কথা প্রতিশ্রæতি দেয়।
চাকুরীর পেতে ৮ লক্ষ টাকা দাবী করেন ডিআইজ পরিচয়দানকারীর দুই সহযোগী কুষ্টিয়া হরিপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে মামুন(৩৮) ও কুমারখালী উপজেলার দয়ারামপুর গ্রামের মৃত হামিদ আলীর ছেলে আব্দুল লতিফ(৩৫)। একপর্যায়ে মহিদুল ইসলাম ডিআইজি পরিচয় দানকারীদেরকে বিকাশের মাধ্যমে ৩৯ হাজার ৫শ টাকাও পাঠান।
পরে বিষয়টি বুঝতে পেরে মহিদুল ইসলাম আলমডাঙ্গা থানায় হাজির হয়ে বিষয়টি জানায়। পরে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ ইলেকট্রিক্স ডিভাইস ব্যবহার করে ওই মোবাইল নাম্বার থেকে জানতে পারে ভ’য়া ডিআইজি পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে টাকা আত্মসাৎ করেছে। পরে মুহিদুল ইসলাম আলমডাঙ্গা থানায় উজ্জল, মামুন ও আব্দুল লতিফসহ ২/৩ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে ডিজিটাল নিরাপত্ত আইনে মামলা দায়ের করে।
৬ সেপ্টেম্বর রাতে ওই মামলার ভিত্তিতে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনজার্চ আলমগীর কবীরের নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক অপারেশন শেখ মাহাবুবুর রহমান ও এসআই আব্দুল গাফফার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে প্রথমে উপজেলার ওসমানপুর হঠাৎ পাড়া থেকে উজ্জলকে আটক করে। এরপর কুমারখালী উপজেলার দয়ারামপুর অভিযান চালিয়ে আব্দুল লতিফকে আটক করে নিয়ে আসে। সংশ্লিষ্ঠ মামলায় তাদের দুজনকে আদালতে প্রেরন করা হবে।