৯ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আলমডাঙ্গার ডাউকি গ্রামের বিয়ের প্রলোভনে যুবতী মা হয়েছে! বাবা হয়নি কেউ?

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
সেপ্টেম্বর ১, ২০২১
83
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 

আলমডাঙ্গার ডাউকি গ্রামের ১ সন্তানের জনকের বিয়ের প্রলোভনে ফুটফুটে কন্যা সন্তান জন্ম দিয়েছে যুবতী পূর্ণিমা খাতুন। গত ৩১ আগস্ট মঙ্গলবার রাতে আলমডাঙ্গার শেফা ক্লিনিকে কন্যা সন্তান ভুমিষ্ঠ হয়। বেশ কয়েকদিন আগে এলাকায় জানাজানি হলে দফায় দফায় গোপনে শালিস বৈঠকে মোটা অংকের টাকায় বিয়ের প্রতিশ্রæতি দিয়ে তা রাখেনি ছেলে পক্ষ। অবশেষে মঙ্গলবার বিকালে সন্তান প্রসাব করলে ১ সেপ্টেম্বর যুবতীর চাচা বিচার চেয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।

জানা গেছে, উপজেলার ডাউকি গ্রামের মুন্সিপাড়ার রফিউদ্দিন মুন্সির ছেলে প্রবাস ফেরৎ ১ সন্তানের জনক আশরাফুল (৩২) বাড়ির পিছনে প্রতিবেশী গোলাম মোস্তফা ওরফে গোলাপের যুবতী মেয়ে পুর্ণিমার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। আশরাফুলের মেয়ের বয়স ১০ মাস। তার স্ত্রী ও সন্তান থাকতেও পূর্ণিমার সাথে নিয়মিত দৈহিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। দীর্ঘদির তাদের দুজনের দৈহিক মিলনের ফলে পূর্ণিমা গর্ভবতী হয়ে পড়ে। এরই মাঝে পূর্ণিমা তার গর্ভবতীর কথা আশরাফুলকে জানায়। এ কথা জানার পর বেশ কয়েকবার গোপনে আশরাফুল পূর্ণিমার পেটের বাচ্চা নষ্ট করে দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্ত পেটের বাচ্চার বয়স কয়েক মাস হয়ে যাওয়ায় তা নষ্ট করতে পারেনি।

একথা গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় মুখোরচক সংবাদে পরিনত হয়। এরপর দুই পরিবারের মধ্যে ঘটনা জানাজানি হয়ে পড়ে। তারা রাতের অন্ধকারে দফায় দফায় গোপনে শালিস বৈঠকেও বসে। একাধিক শালিসে আশরাফুলের পরিবার পূর্ণিমার পরিবারকে মোটা অংকের টাকা দিবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। আবার কোন শালিসে দুজনকে বিয়ে দিয়ে দেয়া হবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়। কিন্ত আশরাফুলের মুন্সি পরিবার গ্রামে অত্যন্ত প্রভাবশালি হওয়ায় শেষ পর্যন্ত কোন প্রতিশ্রæতিই তারা রাখেনি। এরই মাঝে মঙ্গলবার বিকাল থেকে পূর্ণিমার প্রসব বেদনা শুরু হয়। তাকে দ্রæত নিয়ে যাওয়া হয় আলমডাঙ্গা কলেজপাড়াস্থ শেফা ক্লিনিকে। সেখানে তাকে ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যায় পূর্ণিমা খাতুন জন্ম দেয় একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান। বাচ্চাটির নাম রাখে সাথী।


এ ঘটনায় ন্যায় বিচার পেতে পূর্ণিমার চাচা বজলুর রহমান ১ সেপ্টেম্বর বুধবার বাদি হয়ে থানায় ৫জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। আসামী মূল হোতা ডাউকি গ্রামের রফিউদ্দিন মুন্সির ছেলে আশরাফুল। পরবর্তিতে ঘটনা চেপে যেতে হুমকি-ধামকি দেওয়ায় আসামী করা হয়েছে আশরাফুলের পিতা রফিউদ্দিন মুন্সি ও তার অপর দুই ভাই হাসিবুল ও নাজমুলকে। এছাড়া হুমকি-ধামকিতে অংশ নেওয়া একই গ্রামের মৃত আরজেত আলীর ছেলে মিজানুলকেও আসামী করা হয়েছে।


এ ব্যাপারে বাদি বজলুর রহমান বলেন, আমার ভাতিজিকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তার সাথে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেছে আশরাফুল। এরপর তারা একেক সময় বিয়ে দিবে বলেও প্রতিশ্রæতি দেয়। কিন্ত গ্রাম্য প্রভাবের কারনে তারা আর বিয়ে দিতে রাজি হয়নি। তারা আমার বড় ভাইয়ের পরিবারকে একের পর এক হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram