আলমডাঙ্গায় পিকআপের ধাক্কায় মারাত্মক আহত স্কুলছাত্র হৃদয়ের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু
আলমডাঙ্গা কুষ্টিয়া সড়কে পিকআপের ধাক্কায় মারাত্মক আহত স্কুলছাত্র চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৪৮ ঘন্টা পর হৃদয় মৃত্যু বরণ করেছে। ২৩ আগস্ট সকালে কুষ্টিয়া সড়কে নওদাপাড়া নামক স্থানে পিকআপের ধাক্কায় মারাত্মক আহত হয় সে। ২৪ আগস্ট রাতে চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হৃদয় মৃত্যু বরণ করে।
জানাগেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার কালিদাসপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের আকরাম আলীর ছেলে হৃদয় আহমেদ(১৫) জেএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী। ২৩ আগস্ট সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আলমডাঙ্গা থেকে প্রাইভেট পড়ে বাইসাইকেল যোগে বাড়িতে যাচ্ছিল।
এসময় কুষ্টিয়ার আসা ইশ^রদী হাবিব টিকাদার প্রতিষ্ঠানের একটি পিকআপ দ্রæতগতিতে এসে নওদাপাড়া নামকস্থানে হৃদয়ের বাইসাইকেরে সজোরে ধাক্কা দেয়। পিকআপের ধাক্কায় হৃদয় বাইসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে মারাত্মক আহত হয়। এসময় পিকআপটি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে একটি গাছের সাথে ধাক্কা মারে এবং ড্রাইভার পালিয়ে যায়। পিকআপটি আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
হৃদয়কে স্থানীয় জনগন আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় ক্লিনিকে পরে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য হারদী কমপ্লেক্স হারদী সেখান থেকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওই দিনই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী নিয়ে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। ২৪ আগস্ট রাত সাড়ে ৯ টার দিকে চিকিৎসাধনি অবস্থায় হৃদয় মৃত্যু বরণ করে। সকালে হৃদয়ের মৃত দেহ নিজ বাড়িতে নিয়ে আসলে নেমে আসে শোকের ছায়া।
পরিবারের সদস্যদের কান্নায় এলাকার আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠে। হৃদয়ের বাবার কোন অভিযোগ না থাকায় পিকআপের মালিক হৃদয়ের লাম দাফনের পর পিকআপটি ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জানাজার নামাজ শেষে গ্রামের কবরস্থানে হৃদয়ের লাশ দাফন করা হয়।