আলমডাঙ্গা কুমারীর খন্দ: আলমগীর হোসেন আর নেই: মুক্তিযোদ্ধা হয়েও পাননি স্বীকৃতি

আলমডাঙ্গা কুমারী গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য খন্দকার আলমগীর হোসেন আর নেই (ইন্নালিল্লালি………….রাজিউন)। তিনি স্টোকে আক্রান্ত হয়ে ২৩ আগস্ট রাত সাড়ে ১০ টায় ঢাকা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
এলাকাবাসি ও পরিবার সুত্রে জানাগেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার কুমারী গ্রামে খন্দকারপাড়ার মরহুম খন্দকার আতাউর রহমানের ছেলে খন্দকার আলমগীর হোসেন। তিনি পাকিস্থান সরকারের আনসার বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। ১৯৭১ সালে আনসার বাহিনীর চাকুরী ছেড়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েন। তিনি গেলিরা বাহিনীর প্রশিক্ষণ নিয়ে ছিলেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৪ সালে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। সেনাবাহিনীর চাকুরী থেকে তিনি ১৯৯৫ সালে অবসর গ্রহণ করেন। অবসর গ্রহণের পর থেকে তিনি ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকুরীর সুবাদে মোহাম্মদপুর এলাকার বসবাস শুরু করে। ঢাকায় বসবাস ও শারিরিক অসুস্থতার কারনে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সামনে হাজির হতে না পারায় মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় তার নাম নতিভূক্ত হয় নাই। যার কারণে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হওয়া সত্তে¡ও তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা সম্ভব হয়নি। মৃত্যুকালে স্ত্রী, ১ ছেলে ও ১ মেয়েসহ অসংখ্য গুনগ্রহী রেখে গেছেন।
২৪ আগস্ট মঙ্গলবার বাদ যোহর জানাযার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানাযায় উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাড সালমুন আহমেদ ডন, আলমডাঙ্গ প্রেসক্লাব সভাপতি খন্দকার শাহ আলম মন্টু, আলমডাঙ্গা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলাল উদ্দিন, কুমারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গণি, বীরমুক্তিযোদ্ধা শেখ আমিন উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ শামসুল হক, মোমিন চৌধুরী ডাবু, দোলাল হোসেন প্রমুখ।
মরহুম আলমগীর হোসেনের ভাগ্নে মোমিন চৌধূরী ডাবু বলেন, তিনি সর্বজন শ্রদ্ধেয় সাদা মনের মানুষ ছিলেন। তিনি পাকিস্থান সরকারের আনসার বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষনের পর চাকুরী ছেড়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েন। স্বাধীনতা যুদ্ধে তিনি সরাসরি অংশ গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে ১৯৯৫ সালে অবসর গ্রহণ করেন। সরকারের কাছে আমাদের আকুল আবেদন তাকে যেন মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
ছবি: মরহুম আলমগীর হোসেন\